শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি বার্তার নামে ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি ও সঙ্ঘের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন।” মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যবাসীদের উদ্দেশ্যে যে শান্তি বার্তা দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি-আরএসএসকে নিশানা করে শান্তির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠি লিখে তিনি বাংলাকে ভাগ করার জঘন্য প্রচেষ্টার জন্য বিজেপি ও তার সঙ্গী আরএসএসকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, বিজেপি ও তার মিত্র সংগঠনগুলি—বিশেষ করে আরএসএস—রাজনীতির নামে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। এর প্রেক্ষিপ্তেই এদিন মমতাকে সরাসরি নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের দ্বিচারিতা আজ আর ঢাকতে পারছেন না । শান্তির বার্তা’র নামে আসলে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন এবং ভোটব্যাংকের রাজনীতি করছেন। এই তথাকথিত “শান্তির বার্তা”-য় তিনি প্রকাশ্যে বিজেপি, আরএসএস এবং সংঘ পরিবারকে লক্ষ্য করে সাধারণ মানুষকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সংঘ পরিবারকে দোষারোপ করে যে ন্যক্কারজনক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, তা একেবারেই মিথ্যা এবং হাস্যকর। কারণ, সবাই জানেন সংঘ পরিবার সবসময় হিন্দু সমাজের পাশে থেকেছে এবং তাদের রক্ষার জন্য কাজ করেছে।”
বিরোধী দলনেতা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরও উল্লেখ করেছেন, “মাননীয়া সেই মৌলবাদী উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলেননি, যারা প্রকৃতপক্ষে এই হিংসার ঘটনার পেছনে রয়েছে। বরং তিনি নিজেই লিখিতভাবে স্বীকার করেছেন যে রাজ্যের বাইরে থেকে লোকজন এসে হিংসা ছড়াচ্ছে এবং তারপর পালিয়ে যাচ্ছে। এই স্বীকারোক্তি অত্যন্ত গুরুতর এবং ভারতের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিশ বিভাগের প্রধান, সেখানে তিনি নিজেই যদি দোষীদের নাম নির্ধারণ করে দেন, তাহলে রাজ্য পুলিশের তদন্ত আর কতটা স্বতন্ত্র বা নিরপেক্ষ হতে পারে? এটি নিছক একটি প্রহসনের চেয়ে বেশি কিছু নয়।” তিনি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে মুর্শিদাবাদে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার তদন্তের দায়িত্ব অবিলম্বে এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, এই ঘটনার পেছনে রয়েছে বহিরাগত চক্র ও গভীর ষড়যন্ত্র।”