ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata Jindal Power plant : “অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না, আমরা বলি না, আমরা করে দেখাই” শালবনীতে জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করে বিরোধীদের জবাব মমতার

Mamata Jindal Power plant : “অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না, আমরা বলি না, আমরা করে দেখাই” শালবনীতে জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করে বিরোধীদের জবাব মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। “অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ১৯ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব এসেছিল। তার মধ্যে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।....

Mamata Jindal Power plant : “অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না, আমরা বলি না, আমরা করে দেখাই” শালবনীতে জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করে বিরোধীদের জবাব মমতার

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata Jindal Power plant : “অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না, আমরা বলি না, আমরা করে দেখাই” শালবনীতে জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করে বিরোধীদের জবাব মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। “অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ১৯ লক্ষ....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

“অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ১৯ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব এসেছিল। তার মধ্যে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা বলি না, আমরা করে দেখাই।” এভাবেই আজ শালবনিতে জিন্দালদের নতুন পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করে বিজেপি এবং সিপিএম সহ বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের জন্য ১৬ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছে জিন্দল গোষ্ঠী। সোমবার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, শুধু এই প্রকল্পে সবমিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের কাজ হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে ২৩টি জেলার মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। আমার বিদ্যুৎ কিনব। ওদের পরিকল্পনা রয়েছে আরও দুটি ইউনিট খোলার।”

বাম আমলের সমালোচনা করে মমতা বলেন, “বাম আমলে সবাই বলতেন, লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। এখন ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। সপ্তাহে ৭ দিন এই ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে আমরা ৭৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার নতুন লাইন করা হয়েছে। ৭৫০টির বেশি সাবস্টেশন করা হয়েছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। এখন সেটা ১০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য তা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া। বাংলার আরও বিদ্যুৎ দরকার।”
সোমবার শালবনিতে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “এই জেলায় জিন্দলদের একটি সিমেন্ট হাব আছে। ২ হাজার একর এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হচ্ছে। স্টিল ট্রেনিং সেন্টার করার অনুরোধ করব। যাতে স্থানীয় যুবক-যুবতী এবং অন্যান্যরা কাজ শিখতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরে ৯টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে। বাংলা এখন দেশের সিমেন্ট হাব। বাংলায় ৬টি ইকোনমিক করিডোর তৈরি করেছি। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ৫টি বড় সংস্থা আসছে। এছাড়া ২ হাজার ৪৮৩ একর জমিতে জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী তৈরি হয়েছে। সেল গ্যাস আসানসোল ও দুর্গাপুরে। অশোকনগরে ওএনজিসি। বানতলায় লেদার হাব। নিউটাউনে সিলিকন ভ্যালি। তাজপুরেও শিল্প আসছে। বাড়বে কর্মসংস্থান।” বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়ে তিনি আরও বলেন, “বিজিবিএসে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে ১৯ লক্ষ কোটির। ১৩ লক্ষ কোটির বেশি বাস্তবায়িত। বাকি কাজও চলছে। অনেকেই বলেন, বাংলায় কিছুই হয় না। আপনারা আমার কুৎসা করতে পারেন। অবজ্ঞা নয়।”

এদিনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদেরও জবাব দিলেন। বললেন, ”যারা বলছেন, কিছু হচ্ছে না, তারা নিজের চোখে দেখুন কী ছিল আর কী হয়েছে। এখানে মনে আছে, জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানারও উদ্বোধন করেছিলাম আমি। এখানে এখন কাজ চলছে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কত প্রস্তাব এসেছিল, কত কার্যকর হয়েছে। সেসব হিসেব আমি দিয়েছি। ১৯ হাজার কোটি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল। ১৬ হাজার কোটির কাজ চলছে। বাকি প্রকল্পের কাজও দ্রুত শুরু হবে। তাই বলছি, আমার সমালোচনা করুন, কিন্তু অবহেলা করতে পারবেন না। আমরা কথা নয়, কাজে বিশ্বাস করি।ডাক্তার দেবী শেঠি কথা দিয়েছিলেন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। সেইমতো কাজ শুরু করেছেন রাজারহাটে একটি হাসপাতালের, আমরা শিলান্যাস করব।”
সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে রাজ্যে শান্তির পরিবেশে সামান্য ছন্দপতন ঘটেছে। দু, একটি জেলায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বারবার শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। রাজ্যবাসীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার শালবনিতে শিল্প সূচনায়ও সেই প্রসঙ্গ আরও একবার মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বললেন, ”আমাদের দেশ বৈচিত্র্যের। একেক রাজ্যে একেকরকম সৌন্দর্য, একেকরকম খাওয়াদাওয়া, একেকরকম উৎসব। কিন্তু আমাদের বিশেষত্ব হল এই বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য আছে। সেটা ভাঙার নয়, বরং আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়া আমাদের লক্ষ্য। সকলে কাজের মধ্যে থাকুন। মনে রাখবেন, ইতিবাচকতাই মনের জোর বাড়ায়। পজিটিভ কথা শুনলে চাঙ্গা হতে পারবেন। আর নেগেটিভ কথা শুনলে তা মনের মধ্যে গেঁথে থাকে।”

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সজ্জন জিন্দল বলেন, কৃষকরা যাতে উপকৃত হন সেই কথা তাঁদের বারবার বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতোই তাঁরা কাজ এগোবেন। পাশাপাশি এখানকার স্থানীয় ছেলেমেয়েদের উন্নয়ন হয় তাই জন্য এখানে একটা ট্রেনিং স্কুল খোলা হবে, যেখানে তাদেরকে ট্রেনিং দেওয়া হবে।
এই উদ্যোগ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ বলেন, ”সজ্জন জিন্দল এবং তাঁর সংস্থাকে ধন্যবাদ কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নেওয়ার জন্য। আগে তাঁদের সিমেন্টের কারখানা ছিল, এখন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও হতে চলেছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, যেখানেই জিন্দল গোষ্ঠী বিনিয়োগ করেছে, সেখান শুধু কর্মসংস্থান হয়নি, এলাকার আমূল পরিবর্তন করে দেন তাঁরা। তাই আমি নিশ্চিত আগামী ৫ বছরের মধ্যে মেদিনীপুরের শালবনির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। এলাকার আরও উন্নতি হবে।”

এদিন দেবও বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং সজ্জন জিন্দলের সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘাটালের তারকা তৃণমূল সাংসদ বলেন, “মনে হচ্ছে দিদির স্বপ্ন এগিয়ে বাংলা প্রত্যেকদিন রূপায়ণ হচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আজ। যারা বলছে রাজ্যে শিল্প নেই, কিছু হচ্ছে না, তাদের আজ দেখা উচিত। ১৬০০ মেগাওয়াটের থার্মাল প্ল্যাট হচ্ছে। কত বড় রাজ্যের লাভ হচ্ছে, তা দেখা উচিত। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসা, চাকরি নিয়ে ভাবছেন তা আজ প্রমাণ হয়ে গেল। অনেকে কাজ পাবেন। উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান হবে। আমি মেদিনীপুরের ছেলে। এই কাজটি মেদিনীপুরেই হচ্ছে, তাই খুব খুশি।”


সজ্জন জিন্দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেব আরও বলেন, “আমি আশা করি আরও বড় শিল্পপতি রাজ্যে আসবেন। কাজ করবেন। রাজ্যের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করব।”

আজকের খবর