সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
কলকাতায় আসছে বিপুল অংকের মার্কিন বিনিয়োগ। ইন্দো মার্কিন যৌথ উদ্যোগে কলকাতায় তৈরি হবে আন্তর্জাতিক মানের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট।
হবে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান।
এবার তার রূপরেখা তৈরি করতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস দিয়াজ।
Land for the ‘Shakti’ Semiconductor Fab Plant, India-US Joint Venture has already been identified.
Land for the upcoming Lulu Mall in Kolkata has been identified. Lulu Group is going to come down soon to finalise the same.
বাংলায় সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে এবার, সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আমেরিকার কনসাল জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে প্রচুর চাকরি হবে, জমিও রাজ্য তৈরি করে রেখেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে এই প্ল্যান্ট। এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফেসবুকে পোস্ট করে দুই রাষ্ট্রনেতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন আগেই। এবারে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বসলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”সেমি কন্ডাকটর কারখানা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের একটা টিম বেঙ্গালুরুতে ওদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছে। আমরা জমি প্রস্তুত রেখেছি। লুলু গ্রুপ আসছে ওদের জন্য জমি রাখা আছে। বিজিবিএস ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি হবে। তার আগে জানুয়ারিতে একটা বৈঠক হবে এটা নিয়ে। আজ যে সাফল্য,সেটা বাংলার আগামী দিনের ব্যাপার। জানুয়ারিতে একটা রোড ম্যাপ অনুষ্ঠান করছি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি।” কর্মসংস্থান নিয়েও জানালেন মমতা বলেন, ”প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। চর্ম শিল্পে পাঁচ লাখ চাকরি হয়েছে। আরও আড়াই লাখ চাকরি হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমরা জমি তৈরি করে রেখেছি। ওনারা একটা জমি দেখেছেনও। দুবাইয়ের লুলু গ্রুপও আসছে। তাদের জন্যেও জমি দেখানো হয়েছে। এই সেন্টারটা হলে তা বিশ্বমানের হবে। আমাদের ট্য়ালেন্টকে কাজে লাগাতে পারবে। পরিকাঠামোটা মেধাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের ছেলে মেয়েরা খুবই দক্ষ। আমরা বলেছি জানুয়ারিতে একটা রোড ম্যাপ তৈরি করতে বিজিবিএস-এর আগে। এটা বাংলার জন্য একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। আমরা খুব খুশি।”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত তিন বছর ধরেই ওয়েবেলের আইটি বিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে এই কাজ, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘোষণা করেছেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
মমতা বলেন, “এই যে সাফল্য এল তা আগামিদিনে বাংলার জন্য গর্বের। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় প্রচুর চাকরি হচ্ছে। ৬টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হচ্ছে। দু’টো পাওয়ার প্ল্যান্ট করছে রাজ্য সরকার। দু’টো বেসরকারি সংস্থাও তৈরি করছে।
মমতা বলেন, “জিন্দলরাও পাওয়ার প্ল্যান্ট করছেন সম্ভবত। আরও ২-৩টে স্টিল প্ল্যান্ট হচ্ছে। আমি তো গতকাল বর্ধমান রোড ধরে ফেরার সময় দেখলাম হুগলি, হাওড়া ভর্তি হয়ে গিয়েছে। দু’পাশে কোনও জমি খালি নেই। সব জায়গায় শিল্প হয়েছে। টোটালটাই ইন্ডাস্ট্রি।” ৫ লক্ষ চাকরি ইতিমধ্যেই লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে হয়েছে, আরও আড়াই ল
ক্ষ হবে বলে জানান তিনি।