ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, তার ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। নিবন্ধনের স্থগিতাদেশ বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে সেই দল নির্বাচন করতে পারবে না। সুযোগ নেই। এবং প্রধান উপদেষ্টার দেয়া সময় অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৯ মে) আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্রে রাজশাহীর ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ পরবর্তী পর্যালোচনা ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে-সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি। তবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।”
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা ও তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সরকারের নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অবস্থায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আপাতত বন্ধ রয়েছে।