সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
“আমি ট্রেনে চড়তে ভয় পাই।” কেন্দ্রে বর্তমান মোদি সরকারের আমলে ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তা তলানিতে থেকেছে বলে মন্তব্য করে নিজের ভয়ের কথা জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতা পুরসভায় ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের। শুধুমাত্র চমক ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্দিষ্টভাবে কোন পরিকল্পনা নেই ভারতীয় রেলের অভিযোগ করেন তিনি। পরিকল্পনার অভাবে ভারতীয় রেলের এই কঙ্কালসার চেহারা।”
কলকাতায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচারের প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “টেস্ট রিপোর্ট আইজিএম ছিল। টেস্ট রিপোর্ট কোথায়? ডেঙ্গু ফিভার লিখে দায়িত্ব এড়ানো যায় না। তার যে সাপোর্টিং ডকুমেন্ট দেয়নি আরজি কর। টেস্ট রিপোর্ট না থাকলে মুখে বলে দিলাম । স্বাস্থ্য ভবন কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। প্রচার হয়েছে অনেক কমেছে ডেঙ্গু , ম্যালেরিয়া।”
শনিবার কলকাতা পৌরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “গঙ্গা ঘাটের ভাঙ্গন নিয়ে আমি পোর্ট ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠির দেওয়া হয়েছে। এখানে ড্রেজিংয়ের দরকার। নির্বাচন শেষ হলেই আমরা পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে বৈঠক করব।”
আরজি করের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারাই গিয়েছিলেন সিবিআই এর কাছে। তদন্তের একটা প্রসেস আছে। কালকে যদি কোনো তদন্ত ভুল হবে। এই তদন্ত সিরিয়াসলি করতে হবে। রাস্তায় কি চার্জশিট দিলাম। তার কোনো গুরুত্ব নেই। আমি কাউকে পছন্দ করছি না বলে অভিযোগ করে দেব সেটা হয় না। সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত করতে পারবে না। কেসের শুনানি লোয়ার কোর্ট করবে। এটা তো ঠিক বামপন্থীরা এই আন্দোলন করেছে। এই অপরাধের ফাঁসি কার্যকর করা উচিত। বিধান সভায় একটা অপরাজিতা আইন হয়েছে। সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে।”
উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মেয়রের বক্তব্য, “অমিত শাহ আর মোদি আসলে নির্বাচন করা যায় না। মানুষের জন্য আমরা কি কাজ করেছি। সেটা বড় কথা।বিজেপির নেতার খুন নিয়ে সবই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। কিন্তু সেটা প্রমাণ হয় না। সন্দেশখালি এবং আরজি কর হচ্ছে তার প্রমাণ।”