মোহাম্মদ সেলিম খান। কলকাতা সারাদিন।
অল ইজ নট ওয়েল। বাংলাদেশে বড় কিছু হতে চলেছে? একদিকে মহম্মদ ইউনূসের ইস্তফার গুঞ্জন, অন্যদিকে রাস্তাঘাটে যে দৃশ্য দেখছেন রোজ, তাতে তটস্থ বাংলাদেশের বাসিন্দারা। কী হচ্ছে? বাংলাদেশের রাজধানীতে নেমেছে সেনার ট্যাঙ্ক। শহরের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ও ট্যাঙ্ক।
তবে কি সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় সেনার টহল চলছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি। গুরুত্বপূর্ণ যে দফতরগুলি, সেখানে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশের একাধিক জেলাতেই সেনাবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। ট্যাঙ্ক, এপিসি ও জিপ নিয়ে নিয়মিত টহল দিচ্ছে তারা।
যদিও সেনার বক্তব্য, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতেই এই টহল দেওয়া হচ্ছে। তবে হঠাৎ সেনার এই গতিবিধি বাড়ায়, আতঙ্কিত অনেকে। মোটেই ভাল ইঙ্গিত বুঝছেন না তারা।
অন্যদিকে, সম্প্রতিই ডিরেক্টরেট অব মিলিটারি অপারেশনের স্টাফ কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে অপরাধ ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। চুরি, ছিনতাই, যৌন হেনস্থা সহ নানা অপরাধ ঘটছে। বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ২৪৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু ১৫ থেকে ২১ মে-র মধ্যেই ২৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনা, বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানেই এই ধরপাকড়, গ্রেফতার করা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় গণঅভ্যুত্থানের মুখে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তৈরি হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তার প্রধান উপদেষ্টার পদে বসানো হয় নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। তবে সাধারণ নির্বাচন নিয়ে ক্রমাগত চাপ বেড়েই চলেছে ইউনূস সরকারের উপরে। আর এর জেরেই ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন মহম্মদ ইউনূস। যদিও গতকাল ঘনঘন বৈঠক হয়। বিএনপি, জামাত দলের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, তারা ইউনূসের ইস্তফা চান না। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। আজ সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস।