সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কিশোর ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল এসএসকেএম হাসপাতালে। শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি সে। রবিবারই তার মৃত্যু হয়। ওই কিশোরের পরিবারকে না জানিয়েই তার দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কিশোরের পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ দেহ মর্গে পাঠাতে গেলে বাধা পরিবারের। গতকাল আচমকা নিখোঁজ হয় বছর পনেরোর কিশোর। প্রতিদিনই রবীন্দ্র সরোবর ক্রিকেট প্র্যাকটিসে আসত দেব। গতকালও রবীন্দ্র সরোবর যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। রাতে না ফেরায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। রাতে মিনাখাঁয় খোঁজ মেলে ওই কিশোরের। প্রথমে প্রগতি ময়দান থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। প্রগতি ময়দান থেকে রবীন্দ্র সরোবর থানায় পাঠানো হয়। রবীন্দ্র সরোবর থানাও অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি পরিবারের। আজ দেহ উদ্ধারের পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধে পরিবারকে না জানিয়ে দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, মিনাখাঁর বাসিন্দা বছর ১৫- র ওই কিশোর প্রতিদিন রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ক্রিকেট শিখতে আসত। গতকাল সকালেও ক্রিকেট শিখতে আসছে বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোর। কিন্তু রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি সে। পরিবারের লোক প্রথমে যান প্রগতি ময়দান থানায়। জানা গিয়েছে, মালঞ্চ অঞ্চল থেকে বাস ধরে আসত কিশোর। পরিবারের অভিযোগ, প্রগতি ময়দান থানা কোনও অভিযোগ নেয়নি। সেখান থেকে তাদের পাঠানো হয় রবীন্দ্র সরোবর থানায়। সেখান থেকে পাঠানো হয় টালিগঞ্জ থানায়। একের পর এক থানায় ঘোরানো হয় কিশোরের পরিবারের লোকজনকে। কিন্তু কোথায় নেওয়া হয়নি অভিযোগ।
পরবর্তীতে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় ওই কিশোরকে। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবারের সদস্যদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর যখন হাসপাতালের মেন বিল্ডিং থেকে মর্গের দিকে কিশোরের দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাদের না জানিয়েই পুলিশ কিশোরের দেহ মর্গে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের আরও অভিযোগ, কিশোরের দেহে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, একের পর এক থানায় ঘোরানো হলেও কিশোর নিখোঁজ থাকার ব্যাপারে তাদের কোনও সাহায্য করেনি পুলিশ। আর এইসব নিয়েই পুলিশের সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় মৃত কিশোরের পরিবারের। পুলিশের দাবি, কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার পর একটা নির্দিষ্ট সময় পার হলে তারপর অভিযোগ দায়ের করা যায়। এক্ষেত্রে সেই সময় পার হয়নি।