ব্রেকিং
Latest Posts
KMC Road Extension Kolkata : চওড়া হচ্ছে কলকাতার রাস্তা, যানজটে নাকাল কলকাতাবাসীর সুবিধার্থে চওড়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রাস্তাCalcutta Highcourt SSC tainted list : ‘চিহ্নিত অযোগ্যদের নাম ইন্টারভিউ এর তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে’ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টেরSuvendu attacks Mamata on SIR panic : ‘তৃণমূলের একটা নতুন রোগ হয়েছে, এসআইআর আতঙ্ক এবং আত্মহত্যা রোগ’ মমতাকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুরOdisha Bengali migrant detention : ওড়িশায় বাংলায় কথা বলায় আটক ১০ বাঙালি হকার! মমতার সাহায্য প্রার্থনা—বিতর্কে ডাবল ইঞ্জিন সরকারSIR BLO Suicide Mamata Reaction : এসআইআর চাপের জেরে বিএলও আত্মহত্যা, কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে কড়া আক্রমণ মমতার
  • Home /
  • বিজনেস /
  • Viksit Bharat : বিকশিত ভারত গড়তে নজর থাক এশিয়ায়, বলছেন রাকেশ মোহন

Viksit Bharat : বিকশিত ভারত গড়তে নজর থাক এশিয়ায়, বলছেন রাকেশ মোহন

অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজন উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম উপাদান রপ্তানি বাড়াতে হলে ভারতের উচিত এশিয়ার দেশগুলির দিকে নজর দেওয়া। আগামী ২০-২৫ বছর এশিয়ার দেশগুলি থেকে ৪০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধি আসতে চলেছে বলে শুক্রবার বণিকসভা ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্সের এক....

Viksit Bharat : বিকশিত ভারত গড়তে নজর থাক এশিয়ায়, বলছেন রাকেশ মোহন

  • Home /
  • বিজনেস /
  • Viksit Bharat : বিকশিত ভারত গড়তে নজর থাক এশিয়ায়, বলছেন রাকেশ মোহন

অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজন উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম উপাদান রপ্তানি বাড়াতে হলে ভারতের উচিত....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজন উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম উপাদান রপ্তানি বাড়াতে হলে ভারতের উচিত এশিয়ার দেশগুলির দিকে নজর দেওয়া। আগামী ২০-২৫ বছর এশিয়ার দেশগুলি থেকে ৪০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধি আসতে চলেছে বলে শুক্রবার বণিকসভা ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্সের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তথা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর রাকেশ মোহন। এ দিন মোহন বলেন, ‘আমরা যাই করি না কেন, পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গে নিজেদের তুলনা করি। প্রতি ক্ষেত্রে পশ্চিমী দেশগুলির দিকে তাকানো আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে পশ্চিমী অর্থনীতি মৃতপ্রায়। আগামী ২০-২৫ বছর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্র হতে চলেছে এশিয়া।’

ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্র দ্রুত হারে বাড়লেও উৎপাদন ক্ষেত্রের মন্থর গতিতে হতাশ সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক প্রোগ্রেসের প্রেসিডেন্ট এমিরেটাস মোহন। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিষেবা ক্ষেত্র দ্রুত হারে বাড়ছে তা অবশ্যই আনন্দের। কিন্তু, কোনও অর্থনীতির সার্বিক বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন ক্ষেত্রের উন্নয়ন জরুরি। ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রের

বৃদ্ধির হাল খুবই খারাপ।’ যখন কোনও দেশের উন্নয়ন হয়, তখন সেই দেশের পরিষেবা এবং উৎপাদন ক্ষেত্র একসঙ্গে বাড়তে থাকে ও কৃষির উপর নির্ভরতা কমতে থাকে। ভারতের ক্ষেত্রে সেই ছবি দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

তাঁর কথায়, ‘যতদিন শিল্পক্ষেত্রের ভালো বৃদ্ধি হচ্ছে না ততদিন আমরা সার্বিক ভাবে উচ্চতর বৃদ্ধির মুখ দেখব না। এটাই ভারতের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। শিল্পের জন্য উপযুক্ত জমি এবং তার চড়া দাম এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।’

রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে দেশের শিল্পমহল পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করছে না বলে মোহন উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে চিনের উদাহরণ টেনে এনেছেন তিনি।

বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদের কথায়, ‘ভারতে বিপুল পরিমাণ কর্মী থাকা সত্ত্বেও কর্মী নির্ভর শিল্প সে ভাবে তৈরি হয়নি। তার বদলে রপ্তানি নির্ভর শিল্প তৈরির দিকে ভারতীয় শিল্পমহলের বেশি ঝোঁক দেখা গিয়েছে।’

স্বল্প সংখ্যক সরকারি চাকরির জন্য বিপুল পরিমাণ আবেদন জমা পড়ার নেপথ্যে সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশে পর্যাপ্ত বেসরকারি কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে বলেই তিনি মনে করেন।

দেশের কাজের বাজারে মহিলাদের কম যোগদান, নীতি ও পরিকাঠামোর ফারাক এবং দক্ষতার অভাব সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে বলেই তাঁর দাবি।

যদিও রেলের ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর এবং গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরালের মতো পরিকাঠামো প্রকল্প দেশের অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করবে বলেই মোহন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ২০-৩০ বছরে দেশের প্রান্তিক এলাকা সড়কপথে যুক্ত হলে তা সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করবে।’

২০৭০ সালের মধ্যে ভারতকে ‘বিকশিত’ করতে কেন্দ্রকে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ।

দেশে উন্নত আইন এবং নিয়ম তৈরি করতে গেলে কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আরও বেশি করে বৈঠক করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মোহন বলেন, ‘ইউএস, ইউকে-র মতো উন্নত দেশগুলিতে বছরে গড়ে ১০০-১৪২ দিন সংসদে আলোচনা হয়। ভারতের ক্ষেত্রে সংসদে বছরে গড়ে ৬০ দিন বৈঠক হয়। রাজ্য বিধানসভাগুলিতে তা গড়ে ২২ দিন।’ এমনি চললে কী ভাবে ভালো আইন তৈরি হবে প্রশ্ন তাঁর।

তবে, ডেটা এবং মোবাইলের বিপুল ব্যবহার, ইউপিআই-এর মতো যুগান্তকারী লেনদেন ব্যবস্থা ভারতীয় অর্থনীতির সাফল্য এবং আগামী দিনে নতুন মাত্রা ছোঁয়ার পথ তৈরি করেছে বলে তিনি মনে করেন। শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এই কর্তা বলেন, ‘ইউএস-এতে একই ব্যাঙ্কের এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করতে ২৪ ঘণ্টা লেগে যায়। তার উপর চার্জ দিতে হয়। এ দেশে মুহূর্তের মধ্যে ফান্ড ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছে। যা ভারতীয় অর্থনীতির বিপুল ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।’

আজকের খবর