সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে তৃণমূলের মন্ত্রী বনাম বিজেপি-র সাংসদ। বচসায় জড়ালেন রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদের গাড়ি আটকে রাখলেন রাজ্যের মন্ত্রী। প্রকাশ্যেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুই জনপ্রতিনিধি। বাবুলের অভিযোগ, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিজেপি সাংসদকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন বাবুল।
এ দিন রাতে কলকাতার দিকে থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রীর দাবি, সেই সময় তাঁর গাড়ির সামনেই ছিল তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। বাবুলের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সাইরেন বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে এগোচ্ছিল বিজেপি সাংসদের গাড়ি।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে মেরামতির কাজ চলায় এমনিতেই রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে রয়েছে। তার মধ্যেই বেপরোয়া গতিতে এগোতে গিয়ে বিজেপি সাংসদের গাড়ি বেশ কয়েকটি বাইককেও ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ বাবুলের।
বাবুলের দাবি, তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে হুটার বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি আসছিল। সেটি বাবুলের গাড়িকে অতিক্রম করে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাবুল সে সময় মুখ বার করে অপর গাড়ির চালককে ঠিক ভাবে গাড়ি চালানোর কথা বলেন। বাবুলের দাবি, তিনি দ্বিতীয় গাড়ির চালককে বলেন, ‘এ ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন? আপনি তো লোককে মেরে দেবেন! আমার গাড়ির সঙ্গে ঠেকে গেলে তো দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।’ তৃণমূল বিধায়কের দাবি, সেই সময় দ্বিতীয় গাড়ির পিছন থেকে কেউ এক জন ‘চালা দে, চালা দে’ বলে ওঠেন। অর্থাৎ, গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন চালককে।
বেশ কিছুটা ধাওয়া করে বিজেপি সাংসদের গাড়ি থামান বাবুল। মন্ত্রীর অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বিজেপি সাংসদ। তাঁকে গ্রেফতার করার হুমকিও দেওয়া হয়।
এর পরেই নিজের গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে বিজেপি সাংসদের গাড়ি আটকান বাবুল। তিনি দাবি করেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষমা না চাইলে তাঁর গাড়ি তিনি ছাড়বেন না। যদিও গোটা ঘটনার সময় গাড়িতেই বসেছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ।
ঘটনার জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে তৈরি হয় যানজট। মন্ত্রী এবং সাংসদের বচসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। এর পর পুলিশের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মেটে।