সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
“পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও ময়দানেই সম্পর্ক রাখা উচিত নয়। পাকিস্তানের সঙ্গে মাত্র একটি ভাষাতেই সম্পর্ক রাখা যেতে পারে, তা হল রণক্ষেত্র। যুদ্ধক্ষেত্রেই ভারতের জয়ের একমাত্র পুরস্কার হতে পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্দখল করা।” এভাবেই আরো একবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের হুঙ্কার দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কের শুরুতেই বিরোধীদের হট্টগোলে দুই সভাই আপাতত মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড হাইকমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক এক্সবার্তায় দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন। এদিন দুপুর অভিষেক পহলগাম পরিস্থিতি ও পাকিস্তানের আড়াল থেকে যুদ্ধ চালানোর কৌশলের তীব্র ধিক্কার জানিয়ে ক্রিকেট রাজনীতির নিন্দা করেন।
তিনি আরও বলেন, দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তান এদেশে জঙ্গি পাঠিয়েছে। তারা আমাদের দেশকে রক্তাক্ত করেছে। দেশের মানুষ ও তাঁদের পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করেছে। এমনকী আজও আমরা শুনে চলেছি সেই ডাক, রাজনীতিকে ক্রীড়া ময়দানের বাইরে রাখা উচিত।
অভিষেকের সাফ দাবি, না! এটা এখনই থামানো উচিত। তিনি বলেন, যখন একটি দেশ ক্রমাগত মহড়া যুদ্ধ চালিয়েই যাচ্ছে, তখন তাদের সঙ্গে নিরপেক্ষ ময়দানে লড়াই চলতে পারে না। আমাদের শহিদদের রক্ত ধুয়ে দিতে পারে, এমন কোনও ক্রিকেট পিচ নেই। আমাদের তেরঙা সবার ওড়ে কেবলমাত্র ব্যাট-বলের কারণে নয়। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় শৌর্য ও লড়াকু মানসিকতার জন্য।
অভিষেক আরও বলেন, আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে গর্ব বোধ করি। আমি নিজেও ক্রিকেট খেলাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, যখন দেশের প্রশ্ন ওঠে, তখন আমরা আমাদের সেনানীর কাছে দায়বদ্ধ। আমরা যখন স্টেডিয়ামে আনন্দে চিৎকার করি, জয়ধ্বনি দিই, তখন এই সেনাবাহিনীই সীমান্তে অতন্দ্র পাহারা দেয়। যখন তাঁরা রক্তাক্ত হন, তখন অন্য খেলা করেন। যারা সীমান্ত জুড়ে আমাদের দিকে বুলেট ছুড়ে চলেছে, তাদের সঙ্গে করমর্দন করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়া কোনও কূটনীতি হতে পারে না। এটা জঘন্য বেইমানি! এবার বিচার চাই। কোনও আমোদ-বিনোদন নয়। আমাদের লক্ষ্য তা হতে পারে না। পাকিস্তানের সঙ্গে খেলাই হয়, তাহলে তা হোক নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। আমাদের লক্ষ্য একমাত্র ট্রফি জয়ের লক্ষ্য হোক পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর জিতে ফেরা। তার কম কিছু হলে, তা হবে আমাদের শহিদদের প্রতি অসম্মান। এবং পহলগামে মৃতদের প্রতি অবিচার ও বিশ্বাসঘাতকতা, লিখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী চলাকালীন আধার কার্ড ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ডকে মান্যতা না দিয়ে যেভাবে স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাচ্ছে। সেখানে স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র পেয়েছে ডগবাবু নামে একটি কুকুর। ইহার সরকারের পক্ষ থেকে ইস্যু করা সেই সার্টিফিকেটে ডগ বাবুর বাবার নাম কুত্তা বাবু এবং মায়ের নাম কুতিয়া দেবী। এই প্রসঙ্গে তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এস আই আর-র নাম করে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এদিকে বিহারে কুকুরের নামে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করছে।”