সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কষ্ট করে ট্রেনে সফর করার দিন এখন অতীত। বিমানের টিকিটের মোটা খরচ বহন না করে, ট্রেনে অল্প খরচেই গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে সেমি হাইস্পিড, সুপারফাস্ট ট্রেনের দৌলতে। এবার দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বর যেতে ৬ ঘণ্টাও সময় লাগবে না। এমনই উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে রেল ট্রাকের ১০০ শতাংশ ইলেকট্রিফিকেশন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোরকদমে কাজ করছে রেলওয়ে। এবার যাত্রীদের সুবিধার জন্য সুপারফাস্ট বুলেট ট্রেনও আনছে সরকার। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে।
মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল প্রজেক্টের অধীনে এই বুলেট ট্রেন চালু করার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্য়েই শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল চলছে জাপানে। জাপানের ই৫ ও ই৩ সিরিজের শিনকানসেনের ট্রায়াল চলছে।
জানা গিয়েছে, শিনকানসেনের এই বুলেট ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার হতে চলেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে।
প্রাথমিক করিডর প্ল্য়ানিংয়ে ওড়িশা না থাকলেও, রেল ভুবনেশ্বর, কটক, পুরীর মতো স্টেশনকেও এই হাই স্পিড রেল ম্য়াপের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। পরবর্তী সময়ে রেলের এই নেটওয়ার্কে বাংলাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
যদি রেলের পরিকল্পনা সফল হয়, তবে দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বর যেতে ২৭ থেকে ৩০ ঘণ্টা নয়,বরং ৬ ঘণ্টারও কম সময় লাগবে। দিল্লি থেকে বিশাখাপত্তনম যেতে ৫ ঘণ্টারও কম সময় লাগতে পারে।
কলকাতার সঙ্গে বুলেট ট্রেনের নেটওয়ার্ক জুড়ে গেলে, দিল্লি থেকে কলকাতা পৌঁছে যাবে মাত্র ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে। অর্থাৎ বিমানের প্রায় সমান সময়েই ট্রেনে চেপে শুয়ে-বসে দিল্লি-কলকাতা যাতায়াত করতে পারবেন।
ভুবনেশ্বর থেকে বেঙ্গালুরু যেতে বর্তমানে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে, বুলেট ট্রেন চালু হলে তা মাত্র সাড়ে ৫ ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারবেন।

দিল্লি থেকে হায়দরাবাদ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪ ঘণ্টা। চেন্নাই যেতে সময় লাগবে সাড়ে ৪ ঘণ্টা।