কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
তৃণমূল হারলো সেই নন্দীগ্রামেই। পূর্ব মেদিনীপুরে সমবায় ভোটে এবার নিরঙ্কুশ পেল বিজেপি। খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল! ‘আমাদের কর্মীরা নন্দীগ্রামে লাড্ডু বিতরণ করবেন’, ঘোষণা করলেন উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু অধিকারীরা।
হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট হল নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে। ১২ আসনের মধ্যে ১২ টিতেই জিতলেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরাই। একটি আসনও দখল করতে পারল না তৃণমূল। এই জয়ে রীতিমতো আনন্দের ঢেউ ওঠেছে গেরুয়াশিবিরে। ভোটের আগেই শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন, ‘সব আসনে জিতব, লাড্ডু বিতরণ করব’। বাস্তবে হলও তাই। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমি কলকাতায় যাচ্ছি, তবে আমাদের কর্মীরা নন্দীগ্রামে লাড্ডু বিতরণ করবেন’।
কালীচরণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ভোটে হওয়ার কথা ছিল ১৫ জুন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভোট স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। প্রতিবাদে শুভেন্দুর নেতৃত্বে পথে নামে বিজেপি। শেষে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে ভোট হল আজ, রবিবার। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র এলাকায় ছিল কড়া পুলিসি প্রহরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ২ নম্বর ব্লকের দক্ষিণ পাইকবাড় কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি। আসনসংখ্যা ৪৪। ভোটাভুটিতে ৩৭ আসনেই জিতেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ৭ আসন গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। এখন নিয়মাফিক যাঁরা ডেলিগেট পদে নির্বাচিত হন, তাঁরাই সমবায় সমিতির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস বা পরিচালন সমিতিতে থাকেন। তবে সবাই নন, এক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১৮। আঠেরো জনের সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত ৩ জন! আবার নির্দলও ৩ জন। বাকি যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা অবশ্য তৃণমূলেরই। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সমবায় ভোটে ধরাশায়ী হতে হল শা
সকদলকে।