প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
একথা ঠিকই যে চিনির পরিমাণ কমানো এবং সম্ভব হলে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়াই শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। সবার আগে চায়ে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিতে হবে।
রান্নায় চিনির ব্যবহার কমাতে পারলে মঙ্গল। শুধু চা নয়, চেষ্টা করুন শরবত, কফি, অন্যান্য পানীয়, ফলের রস এগুলিতেও চিনি না দিয়েই খেতে হবে।
অ্যাডেড সুগার বা অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে যেসব খাবারে সেগুলি কমানো জরুরি। যেমন- কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, বেকারি আইটেম এগুলি যত কম খাবেন, ততই ভাল থাকবে আপনার স্বাস্থ্য।
শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি লাগতে পারে আচমকা চিনি খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে। চিনি খেতে খেতে হঠাৎ একদিন পুরো বন্ধ করে দিলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। অস্বাভাবিক দুর্বল লাগতে পারে আপনার।
চিনি বা সুগার আমাদের এনার্জির জোগান দেয়। তাই চিনি একেবারে ছেড়ে দিলেও বিকল্প হিসেবে কিছু খেতে হবে। নাহলে আচমকা সুগারের মাত্রা শরীরে একদম কমে গিয়ে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি।
চিনি খাওয়া বন্ধ করতে চাইলে প্রথমে অল্প অল্প করে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। এক ধাক্কায় চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে অনেক অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
মনমেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকতে পারে। অতএব প্রথমে চিনির পরিমাণ কমানো জরুরি। তারপর ক্রমশ চিনি বন্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়া শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
চিনি না খাওয়া সবসময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু আচমকা চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া কি ঠিক? কী কী অসুবিধা হতে পারে শরীরে? আপনার চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আচমকা একদিন হঠাৎ করে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে শরীরে।
তাই যাঁদের চিনি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁরা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিতে চাইলে ধাপে ধাপে তা কমাতে হবে। আপনার শরীরের সঙ্গে কম চিনি খাওয়ার বিষয়টা খাপ খেয়ে গেলে, তারপর আপনি ধীরে ধীরে চিনি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে পারেন।