কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
সুপ্রিম কোর্টে ছুটে গিয়ে সমবায় নির্বাচনেও ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে কন্টাই কো-অপারেটিভ নির্বাচনে BJP কে জেতাতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। এবার নন্দীগ্রামের পাশেই পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডিপুরেও সমবায় সমিতির নির্বাচনে BJP কে গোহারান হারিয়ে ৪০-০ ব্যবধানে জয় পেল তৃণমূল।
চণ্ডিপুর ব্লকের মুরাদপুর-হবিচক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন হয় আজ রবিবার। দুপুর ২টোর পর ভোট গণনা শুরু হয়। গণনার শেষে তৃণমূলের বিপুল জয়ের ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ৪০ আসনের মধ্যে সমস্ত আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং এবারের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও যে সমস্ত বুথে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা বিপুল পরিমাণ লিড পেয়েছিলেন, সেই সমস্ত এলাকার বুথেও একচেটিয়া জয় পেয়েছে তৃণমূল।
এই জয়ের পরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শ্রেয়াংশু শেখর পণ্ডিত বলেন, আমি বারেবারে একটা কথা বলছি মানুষ ভুল বুঝে সাময়িক ভাবে আমাদের থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। তবে মানুষ এখন জানতে পেরেছে এলাকার উন্নয়ন একমাত্র তৃণমূল কর্মীর পক্ষেই সম্ভব। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন এই উন্নয়ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সম্ভব নয়। তাই মানুষ আবার ওদের কাছ থেকে আমাদের কাছে ফিরে আসছে। আর ঝাঁকে-ঝাঁকে আমাদের দলে যোগদান করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর কন্টাই কোঅপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছিল তৃণমূল। গত রবিবার তমলুক কো-অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনেও হেরে যায় ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থিত প্যানেল।
এমনকি গত পরশুদিন এগরার জুমকি সমবায় সমিতি নির্বাচনে ১২ আসনের মধ্যে ১২টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। অথচ ভাজপার দখলে রয়েছে জুমকি পঞ্চায়েত। তার মধ্যে জুমকি, মাণিক্যদিঘী, বিশ্বনাথপুর, সিমুলিয়া গ্রামকে কেন্দ্র করে এই জুমকি সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছে। এখানে মোট ভোটার প্রায় ৫৮০। সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৫২৬।