কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
দিঘায় সিরিয়াল কিলার! রীতিমতো হাড়হিম ঘটনা দিঘা সংলগ্ন এলাকায়।
একের পর এক ‘গলা কাটা’ খুন, সবারই গলা থেকে মুণ্ডু আলাদা! কয়েকদিন ধরেই এমন নৃশংস হত্যালীলা চলছিল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। কিন্তু কিছুতেই খুনি ধরা পড়ছিল না।
অবশেষে রহস্যের জট খুললেন পুলিশ। চেন্নাইতে ধরা পড়ল এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড সাহারুল। শুধু রামনগর নয়, খুনির সঙ্গে বসন্ত পুরে গলা কেটে খুন কাণ্ডের যোগও রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত ৯ মে চন্দনপুর কাজুরদান এলাকায় রাজীব দাস নামক এক যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। যে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা রামনগরে।
এরপরেই পুলিশ খুনির সন্ধানে তদন্তে নামে। অবশেষে ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় চেন্নাই থেকে মূল অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই রাজীব দাসকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজিব বর, সাইমুল ইসলাম ও সোমনাথ দাসকে। তাঁদের জেরা করেই চেন্নাই পৌঁছয় পুলিশ এবং সেখান থেকে এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আসারুল ওরফে কালা এবং তাঁর ভাই সাহারুল ওরফে স্যারুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, শুধু রাজীব দাস নয়, বসন্তপুরে এক মহিলাকে খুনের ঘটনাতেও সাহারুল ওরফে স্যারুল যুক্ত থাকতে পারে। ওই মহিলার গলা কাটা দেহ উদ্ধার হলেও তাঁর কাটা মুণ্ডু উদ্ধার হয়নি। আপাতত তাঁর কাটা মুণ্ডুর খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।
ওদিকে রাজীব দাস হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ভোজালিও একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই যুবক এবং এই মহিলাকে একই ব্যক্তি খুন করেছেন বলে ধারণা পুলিশের। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে খুনির কী সম্পর্ক ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, দিন কয়েক ধরেই রামনগর থানা এলাকায় একের পর এক গলা কেটে খুনের ঘটনা ঘটছিল। মাথা ও ধড় আলাদা জায়গায় ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছিল অপরাধীরা। কিন্তু কেন এই নির্মম খুনের ধারাবাহিকতা? ধৃতদের জেরা করে এখন রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে পুলিস।