কিছুদিন ধরে তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনা আপাতত থেমেছে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই নিয়ে এবার লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তদন্তের আবেদন জানালেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে আর্জি জানিয়েছেন।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নাম জড়িয়ে একটি অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ এবার লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম)-এর কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, এটি তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটি ষড়যন্ত্র এবং সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, সম্পূর্ণ ঘটনাটি তাঁকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং এর পেছনে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। তিনি সাইবার ক্রাইম শাখাকে এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার আবেদন জানিয়েছেন। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগে দিলীপ লিখেছেন, তাঁর সম্মানহানি করতে এবং রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করতে সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা রয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হোক। এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হোক।” ষড়যন্ত্রকারীদের আইনানুযায়ী শাস্তির আবেদনও জানান তিনি।
এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি এই ভিডিয়ো দেখিনি। ইন্টারেস্টও নেই। তবে এখনকার টেকনোলজির যুগে কোনও ভিডিয়ো নিয়েই সেই ধরনের বেশি কিছু কথা বলা উচিত নয়। দ্বিতীয় কথা, ব্যক্তিগত জীবনে কে কার সঙ্গে কী করবেন, তাতে আমার উঁকি মারার অধিকার নেই।” এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “দিলীপবাবু অভিযোগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কি কোনও অভিযোগ হয়েছে? তাহলে এই নিয়ে এত কথা বলার কী আছে।”