সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
বাংলার বিধানসভায় পাস হওয়া অপরাজিতা বিল অন্ধপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র এবং অরুণাচল প্রদেশের বিলের শুধুমাত্র অনুকরণ মাত্র। এমনটাই মনে করছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি মনে করছেন, অন্য রাজ্যের একই ধরনের বিলগুলো এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির কাছে তার সম্মতির জন্য পড়ে রয়েছে জেনেও এই ধরনের বিল এনেছে রাজ্য সরকার।
এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিলে সই না হলে ধরনায় বসার যে কথা বলেছেন তা আসলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য, মত রাজ্যপালের।
রাজ্যপাল মনে করেন, সাম্প্রতিক অতীতে আরজিকরের মত এত বড় সমস্যা তৈরি হয়নি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিমিক করছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন যে সততাই শ্রেষ্ঠ পথ। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে অপরাজিতা বিল। বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’।
আর রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে ‘পলিটিকাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। এই বিলের টেকনিকাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের মত, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলেও একই বিল পাস হয়েছে। রাজ্যের বিল সেই বিলেরই ‘কপি পেস্ট’, বলছেন রাজ্যপাল।
পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, বিধানসভায় পাস হওয়ার পর ধর্ষণ-বিরোধী বিল নিয়ম মেনে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠায়নি রাজ্য। যা না পেলে কোনও বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দিতে পারেন না।