শৌভিক তালুকদার। কলকাতা সারাদিন।
বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক (Elon Musk) অবশেষে ঘোষণা করলেন তাঁর বহু প্রতীক্ষিত রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’র (America Party) আত্মপ্রকাশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) একটি বিতর্কিত ট্যাক্স ও ব্যয় বিল পাশ হওয়ার পরই এই ঘোষণার মাধ্যমে আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাম্পের বিল এবং মাস্কের প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি ট্রাম্প একটি বিল পাশ করিয়েছেন, যা ইলেকট্রিক গাড়ি ক্রয়ের জন্য দেওয়া হয়ে আসা $7,500 কর ছাড় বন্ধ করে দেবে। মাস্কের নেতৃত্বাধীন টেসলা (Tesla Inc.) এর অন্যতম লাভবান সেক্টর ছিল এই করছাড়। এই বিলটিকে ভবিষ্যতের শিল্পের ক্ষতি এবং অতীতের শিল্পকে ‘হ্যান্ডআউট’ দেওয়ার মতো পদক্ষেপ বলে কড়া সমালোচনা করেন মাস্ক।
📢 “আপনারা নতুন দল চান, সেটাই পাবেন!”
X (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোল চালিয়ে মাস্ক জানতে চান, মানুষ কি নতুন একটি রাজনৈতিক দল চায়? প্রায় ৬৫% উত্তরদাতা ‘হ্যাঁ’ বলায় মাস্ক লেখেন –
“আপনারা নতুন রাজনৈতিক দল চান, সেটাই আপনাদের দেওয়া হলো! আজ থেকে আমেরিকা পার্টির জন্ম।”
💥 রাজনীতিতে মাস্কের সক্রিয়তা
এর আগেও এলন মাস্ক একাধিকবার রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের একটি ব্যয়ের দায়সারা প্রকল্প থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের পাগলাটে ব্যয় পরিকল্পনা যদি পাশ হয়, পরের দিনই আমেরিকা পার্টি গঠিত হবে।”
বিলের বিরোধিতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মাস্ক অভিযোগ করেন, এই বিলটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পগুলিকে ধ্বংস করছে এবং তীব্রভাবে জাতীয় ঋণ সীমা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, যারা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি তাদের বিরুদ্ধে প্রচার ও অর্থ বিনিয়োগ করবেন।

Elon Musk America Party তৈরি করে প্রমাণ করলেন, তিনি শুধু প্রযুক্তির ক্ষেত্রেই নয়, রাজনীতিতেও বড়সড় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। তাঁর এই পদক্ষেপ কি আমেরিকার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন মোড় আনবে, না কি এটি শুধুই এক ধনী ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক ‘স্টান্ট’? সময়ই বলবে।