বিতস্তা সেন। কলকাতা সারাদিন।
সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাউৎসব। এখন থেকেই প্রহর গোনা শুরু করেছে বাঙালি। দেবী দুর্গার পুজোর জন্য চলছে মণ্ডপ এবং প্যান্ডেলের শেষ মুহূর্তের কাজ। তবে এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই পটুয়া পাড়ার শিল্পীদের। তারাও এখন ব্যাস্ত ঠাকুর তৈরিতে। নদীয়ার শান্তিপুর মৃৎশিল্পের জন্যও বিখ্যাত।
তাই নদীয়ার শান্তিপুরের তৈরী ছোট দূর্গা এখন পারি দিচ্ছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গার কুমোরটুলির উদ্দেশে।গাড়ি করে তৈরী হওয়া ছোট দূর্গা দিচ্ছে পাড়ি।
শান্তিপুরের ছোট দূর্গা প্রতিমার উচ্চতাও দেখার মতো। এক ফুট থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিমার উচ্চতা। সর্বাধিক ৪ ফুট পর্যন্ত তৈরী হয়েছে এই ছোট দূর্গা।
এখন কাগজের পেটিতে বিচালি দিয়ে বিশেষ ভাবে প্যাকেট করে পাঠানো হচ্ছে এই ছোট ছোট দূর্গা প্রতিমা। সঙ্গে যাচ্ছেন তার সন্তান লক্ষী, স্বরস্বতী, কার্তিক গণেশও। এই বিষয়ে শান্তিপুরের ছোট দূর্গা প্রস্তুত কারী মৃৎশিল্পী গৌর পাল জানাচ্ছেন,এই দূর্গা মূর্তি তিনি প্রায় ৩০ বছর থেকে তৈরী করছেন।
এই প্রতিমা তৈরির বরাত আসে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। এই প্রতিমার চাহিদা ব্যাপক কলকাতায়। দামেও কম বলে গৃহস্থ পরিবারের সদস্যরাও বেশি পছন্দ করেন এই প্রতিমা। ৩ মাস আগে থেকে এই প্রতিমা তৈরী করছেন মৃৎশিল্পী গৌর বাবু। তবে করোনা আবহের পর এই প্রতিমার চাহিদা বেড়েছে।
এখন এই প্রতিমা তৈরী করে অনেকটাই স্বাছন্দ ফিরেছে পরিবারে এমনটাই বললেন গৌরবাবু। তিনি বলছেন রাজ্য সরকার যদি একটু সাহায্য করে, তাহলে শান্তিপুরের এই মৃৎশিল্পের আরো উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা।
তিনি এও বলেন, এখন নতুন করে এই মৃৎশিল্পির কাজে ঝুঁকছে না নব প্রজন্ম, কারণ একটাই অতি ধৈর্যের কাজ বলে। এক একটি প্রতিমা তৈরি করতে যেমন সময় সাপেক্ষ, তেমনি নিপুন ক্ষুদ্র কাজ করতে হয়।