সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ফাটল! তাও আবার একাধিক। ওড়িশার বিখ্যাত পুরী জগন্নাথ মন্দিরের প্রাচীরেই একাধিক ফাটল দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশা সরকার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মন্দিরের সংস্কারের জন্য।
মন্দির সূত্রে খবর, মূল মন্দিরের ভিতরে আনন্দ বাজার (যেখানে ভগবানকে ভোগ প্রসাদ দেওয়া হয়), সেই জায়গা থেকে মেঘনাদ পাচেরি পর্যন্ত লম্বা ফাটল দেখা গিয়েছে। দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দিরের গায়ে, দেওয়ালে শ্যাওলাও জম্মেছে, যা জানান দিচ্ছে কাঠামোর ভিতরে জল ঢুকছে। এতে মন্দিরের কাঠামোয় আরও ক্ষতি হতে পারে। ভেঙে পড়তে পারে মেঘনাদ পাচেরি।
ফাটল ও শ্যাওলা দেখা দিতেই মন্দির কর্তৃপক্ষ সরকারকে জানায়। এবং রাজ্য সরকারের তরফেও সঙ্গে সঙ্গে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, যারা এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের খবর দেওয়া হয়। কীভাবে মন্দিরের ক্ষয়ক্ষতি রোখা যায় এবং মন্দিরটিকে টিকিয়ে রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনায় বসবে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও ওড়িশা সরকার।
এই বিষয়ে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন, “কীভাবে ফাটল ধরল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এএসআই মন্দির সারাইয়েক প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে আমাদের দেখতে হবে হঠাৎ কেন ফাটল ধরল। এএসআই বারণ করা সত্ত্বেও হয়তো কোনও কাজ হয়েছে। তদন্তের পরই তা জানা যাবে। আপাতত মন্দির সংস্কারই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিকে, মন্দিরের দেওয়ালে ফাটলের খবর প্রচার হতেই ভক্তদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছেন যে জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার ‘শাস্তি’ নয়তো এটা? যদিও পুরোহিতরা এই যুক্তি মানতে নারাজ।