রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
তিনি একাধারে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জননেত্রী, সুদক্ষ প্রশাসক এবং সমাজদরদী মানুষ। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এত দায়িত্ব সামলেও তিনি খোঁজ রাখতে ভোলেন না সমাজের অগ্রজ, গুণীজন, বরেণ্য শিল্পীদের। এবার সেই চিত্রই দেখা গেল ডিসেম্বরের কলকাতায়।
প্রখ্যাত প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী সুপ্রকাশ চাকি’র অসুস্থতা ও আর্থিক সমস্যার খবর পেয়ে তিনি স্বশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, নির্দেশ দিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে। সুপ্রকাশ বাবুর বাড়িতে গেলেন মন্ত্রী। সেখানে গিয়ে তাঁর খোঁজ নেওয়ার ও সরকারি সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সঙ্গীত শিল্পী তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে যান সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র ও রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস। সুপ্রকাশ বাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁরা কথা বলেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দেন। এর পাশাপাশি মাননীয় মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন নিজে ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে ১লক্ষ টাকা তুলে দেন সুপ্রকাশ চাকির হাতে। এবং বলেন সুপ্রকাশ বাবুর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি পারিশ্রমিকহীন সঙ্গীত অনুষ্ঠান করবেন। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন নিজে একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন।
অসুস্থ সুপ্রকাশ বাবু এমন ভরসার হাত পেয়ে কৃতজ্ঞতা দেখাতে কোনোরকম কার্পণ্য করেন নি। আবেগপ্রবণ হয়ে সুপ্রকাশবাবু জানান, জীবনভর মনে রাখবেন স্নেহময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক রূপ।
অসুস্থ সুপ্রকাশ বাবু এমন ভরসার হাত পেয়ে কৃতজ্ঞতা দেখাতে কোনওরকম কার্পণ্য না করে বলেন, ‘জীবনভর মনে রাখবেন স্নেহময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক রূপ।’ এছাড়াও একসঙ্গে এতজনকে নিজেদের বাড়িতে দেখে আপ্লুত চাকি দম্পতি। তারা জানান আজ তাদের বাড়ি যেন চাঁদের হাট। শিল্পীদের যে ভাতা দেওয়া হয় সেই ভাতা যাতে এই দম্পতি পান তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সুপ্রকাশ চাকি স্ত্রী শর্মিষ্ঠা চাকিকে বার্ধক্য ভাতা যাতে দেওয়া যায় সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, একসময়ের বিখ্যাত সুরকার ও গীতিকার সুপ্রকাশ চাকি বর্তমানে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। বার্ধক্যজনিত নানান শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছেন। আর্থিক কারণে নিঃসন্তান এই দম্পতি নানান সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। দূরের আত্মীয় ও তার কিছু ছাত্র ছাত্রীর সাহায্যে কোনও রকমে তাদের সংসার চলে। এই বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশেই সোনারপুরে সুরকারের বাড়িতে যান রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।