রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
অর্চিতা ফুকান – অসমের এক সময়ের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের কেন্দ্রে।
সম্প্রতি তাঁর ছবি এবং ভিডিয়ো ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। আবার অনেকে বলছেন, এটি তাঁর অতীত জীবনেরই প্রতিফলন।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে, অর্চিতা একসময় যৌনপেশায় যুক্ত ছিলেন এবং সেই জগত থেকে তিনি ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বেরিয়ে এসেছেন। এই স্বীকারোক্তি সামনে আসার পর থেকেই অনেকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, আবার কেউ কেউ তাঁর সাহসের প্রশংসাও করছেন।
সম্প্রতি মার্কিন পর্নস্টার কেন্দ্রা লাস্টের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। তার পর থেকেই বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়। ইনস্টাগ্রামে অর্চিতার প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে একের পর এক সাহসী পোস্ট, বিভিন্ন লুক, বিভিন্ন পোজ, যা দেখে নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করছেন—কখনও সমর্থনে, কখনও অপমানে।
বিশেষ করে একটি পোস্টে অর্চিতা বলেন, “এই টপটা মনে আছে?”—এই প্রশ্ন ঘিরেই তৈরি হয়েছে একধরনের উত্তেজনা। কেউ তাঁকে ‘বেবি ডল আর্চি’ বলে সম্বোধন করছেন, আবার কেউ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে তাঁকে আক্রমণ করছেন। তাঁর পোশাক এবং হাবভাব দেখে অনেকে মনে করছেন, এটি হয়তো তাঁর পরবর্তী ধাপে পর্ন দুনিয়ায় প্রবেশের ইঙ্গিত।
তবে সমালোচনার মুখে দমে যাননি অর্চিতা। বরং তিনি নিজের ব্যক্তিত্বকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত। অনেকেই মনে করছেন, তিনি নিজের অতীতকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, যা একপ্রকার সাহসিকতার পরিচয়।
তাঁর সাহসী কনটেন্ট একদিকে যেমন মনোযোগ আকর্ষণ করছে, তেমনই নানা বিতর্কও সৃষ্টি করছে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব কনটেন্ট কি শুধুই জনপ্রিয়তার লোভ, না কি এটি কোনও বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ?

অর্চিতা ফুকানের জীবন, অতীত, এবং বর্তমান সবকিছুই একধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যেখানে একজন মহিলা নিজের ভুল থেকে বেরিয়ে এসে নতুন পরিচয়ে নিজেকে গড়তে চাইছেন, সেখানে সমাজের প্রতিক্রিয়া কখনও উৎসাহব্যঞ্জক, কখনও অত্যন্ত কটূ। তবে এটাও সত্য, এই বিতর্কই হয়তো তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে।