কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ভাঙনমারি মেলায় মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়। Khejuri electric shock death case নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানালেন মৃত সুজিৎ দাস (২৩) এবং সুধীর পাইক (৬৫)-এর পরিবার। তাদের দাবি, এই মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
তদন্ত ও ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, ওই দুই ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। এরপর ময়নাতদন্তেও একই কথা জানানো হয়। কিন্তু পরিবার ও রাজনৈতিক মহলের দাবি, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা বিদ্যুৎস্পৃষ্টের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে তাঁরা আবেদন জানান –
-
নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে পুনরায় তদন্ত হোক
-
দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করানো হোক অন্য হাসপাতালে
বিচারপতি মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং ১৬ জুলাই শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দুর অভিযোগ ও রাজনৈতিক বিতর্ক
বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ ও চিকিৎসকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট’ লেখা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,
“একজন ডাক্তার ময়নাতদন্তকারীকে ফোন করে বলেছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট লিখতে। দেহ যখন পড়ে ছিল, তখন কেন বাড়ির লোককে না জানিয়ে তুলে নেওয়া হল?”
এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে খেজুরিতে বনধ ও প্রতিবাদ মিছিল ডাকে বিজেপি।
আদালতের দিকে তাকিয়ে পরিবার
মৃতদের পরিবার জানিয়েছে,
“আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রিয়জনদের হত্যা করা হয়েছে। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাই সত্য সামনে আনতেই আমরা হাইকোর্টে এসেছি।”
তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য — সত্য উদঘাটন ও ন্যায় বিচার।
Khejuri electric shock death case এখন আর শুধুই একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং তা রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্কের কেন্দ্রে। আদালত কী নির্দেশ দেয় এবং আদৌ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় কি না, সেটাই নজরে এখন।