শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
সোমবার বিকালে ঢাকা বিমানবন্দরে বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রতিবাদের প্রধান মুখ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে মহম্মদ ইউনুসের পুলিশ । তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা ও অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) এক জিহাদির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসকনের ওই সন্ন্যাসীকে। এ নিয়ে প্রতিবাদ ও ওই সন্ন্যাসীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছে বাংলাদেশের হিন্দুরা ।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে আজ রাতের মধ্যে যদি তাকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেবেন ।
আজ সন্ধ্যায় কলকাতায় সাংবাদিকরা মমতা ব্যানার্জি বাড়িতে একটা বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চায় শুভেন্দু অধিকারী কাছে। তিনি বলেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জির ফ্যামিলিতে কি মিটিং,ইটিং এবং সেটিং হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই । এটা নিয়ে আমরা ভাবছিও না। আমরা চিন্তিত এই কারণে বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার যে লড়াই চলছে তার প্রধান মুখ চিনময় কৃষ্ণ প্রভুকে মৌলবাদী ডঃ ইউনুস সরকার একটু আগে গ্রেফতার করেছে। আমরা নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবী করছি। মুক্তি দিন না দিলে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে এবং পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে, যাতে ভারত থেকে বাংলাদেশকে সীমান্ত দিয়ে কোন পণ্য রপ্তানি করতে দেব না। ইউনূসকে বলব রাত্রের মধ্যেই তাকে মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে অত্যন্ত ব্যথিত ও চিন্তিত, বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের যিনি নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে দুপুর বেলা মৌলবাদী ডক্টর ইউনিস সরকার গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই খবরটা পেয়ে অত্যন্ত বিচলিত ও চিন্তিত।”
অন্যদিকে, গুজরাতের গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নির্ভর চলচ্চিত্র ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ দেখতে দল বেঁধে গেলেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে নিউ টাউনের সিটি সেন্টার ২এ ছবিটি দেখতে যান বিজেপির প্রায় ৫০ জন বিধায়ক।
গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীর। সেই ঘটনার পর গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ছড়ায়। যাতে মৃত্যু হয় ৩ হাজারের বেশি মানুষের। সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল না লাগানো হয়েছিল তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই প্রেক্ষাপটে বালাজি টেলিফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’।
এদিন সিনেমা দেখতে ঢোকার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনাকে নিয়ে দশকের পর দশক অপপ্রচার চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নানা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। এবার সাধারণ মানুষ সত্যিটা জানতে পারবে। আমার সঙ্গে প্রায় ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। আমরা সবাই মিলে সিনেমাটা দেখব।