সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন বেঙ্গল মার্লিনের (Bengal Marlin) মালিক সুশীল মোহোতা(Sushil Mohta) । সুশীলের তরফে বিদেশ যাত্রার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। ২৬ ডিসেম্বর – ৬ জানুয়ারি, অনুমতি দিয়েছে আদালত (Court)।
আইওর কাছে ফোন নম্বর দিতে হবে, প্রতি ৩ দিন অন্তর যোগাযোগ রাখতে হবে। ফিরে এসে আইও-কে জানানোর নির্দেশ আদালতের।
সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujoy Krishna Bhadra) তরফে বলা হয়েছিল যে ইডির (ED) তরফে যে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অনেক কাগজপত্র নেই। বিচারক আজ ইডিকে আগামীকালের মধ্যে সব কপি দিতে বলেছে সুজয় কৃষ্ণকে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নতুন আইনজীবী একই আবেদন করেছিল, সেক্ষেত্রেও একই নির্দেশ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ও তাপস মণ্ডলের তরফেও বেশ কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল যেগুলি তারা পাইনি, সেগুলিও ইডিকে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় বেঙ্গল মার্লিনের মালিক সুশীল মোহতার। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটরাজ চালানোর অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর এই সূত্র ধরেই বারবার উঠে আসে মার্লিন গ্রুপের নাম। জানা যায়, কাকুর টাকা মার্লিন গ্রুপ নামের এক নির্মাণ সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে মার্লিন গ্রুপের ঘনিষ্ঠতার কথাও সামনে আসে।
তদন্তে জানা যায়, সুজয়কৃষ্ণের সংস্থা এসডি কন্সালটেন্সির দফতরে বহুবার বৈঠক করেন মার্লিন গ্রুপের কর্তারা। আর খবর, ওই দফতরে একাধিকবার এসেছিলেন খোদ সংস্থার চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা’ও। ইডি সূত্রে খবর, বাজার দামের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে মার্লিন গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্পে অ্যালুমিনিয়ামের দ্রব্য, মূলত জানালার গ্রিল সরবরাহ করত কালীঘাটের কাকুর সংস্থা।