প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
বর্তমানে অল্প বয়সের মানুষরাও হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাক তখন হয় যখন হৃদযন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো সমস্যা আগে থেকেই থাকে, যার সম্পর্কে জানা থাকে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মানুষের ধমনিতে কোলেস্টেরল জমে থাকে, যার কারণে হঠাৎ শারীরিক পরিশ্রম, আবেগ বা উত্তেজনার সময় হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, এর জন্য মূলত দায়ী হলো খারাপ জীবনযাপন এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। তবে প্রতিদিন যদি কিছু সাধারণ কাজ করা হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি মস্তিষ্কও সতেজ থাকে।
স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের জন্য প্রতিদিন করুন এই কাজগুলি
হার্ট-হেলদি ব্রেকফাস্ট করুন:
দিন শুরু করুন হার্টের জন্য উপকারী খাদ্য দিয়ে। এটি শুধু আপনার হৃদয়কে শক্তিশালী করবে না, বরং মস্তিষ্ক এবং শরীরও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। ব্রেকফাস্টে যুক্ত করুন গোটা শস্য, ফল এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ওটমিল, বাদাম, বীজ এবং বেরি জাতীয় খাবার ব্রেকফাস্টে রাখুন।
প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা শরীরচর্চা করুন:
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরকে সক্রিয় রাখুন। এর মানে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো কিংবা নাচের মতো সাধারণ কার্যক্রম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শারীরিক কার্যকলাপ করার চেষ্টা করুন।
লবণ এবং মিষ্টি খাবার কম খান:
অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের বড় ঝুঁকি। একইভাবে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের কারণ হয়, যা হৃদয়ের ওপর চাপ ফেলে। এর বদলে খাবারে হার্বস এবং ভারতীয় মশলার ব্যবহার বাড়ান। মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হলে তাজা ফল খান।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন:
মানসিক চাপ হৃদয়ের জন্য নিঃশব্দ শত্রু। দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য লম্বা শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম, মেডিটেশন বা যে কোনো শখ যা আপনাকে শান্তি দেয়, সেগুলি চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ১০ মিনিটের মাইন্ডফুলনেস চর্চা হৃদয়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
হাসুন এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান:
হাসি আপনার হৃদয়ের জন্য খুব উপকারী। এটি স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং রক্তচাপ ঠিক রাখে। নিয়মিত হাসিখুশি থাকলে আপনার হৃদয় ভালো থাকবে। এ জন্য মজার ভিডিও দেখুন। একইভাবে পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো, তাদের সঙ্গে আনন্দে মিশে থাকা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং আপনাকে স্ট্রেসমুক্ত রাখে।