শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরাট আকারের বিমান C-17। তাতে একে একে চড়ছে হাজার হাজার মানুষ। তারপরেই সেই সেনা বিমান রওনা দিল ভারতের দিকে। কিন্তু, নতুন প্রেসিডেন্ট আসতেই ভারতের জন্য সেনা-বিমানে করে এমন কী পাঠাচ্ছে আমেরিকা?
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভোটের প্রাক্কালেই প্রচারে বেরিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলেই আমেরিকার আকাশে-বাতাসে ‘বদলের হাওয়া’ বইবে। সেই প্রতিশ্রুতিই এবার পূরণ করছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে অবৈধ অভিবাসীদের শিরে সংক্রান্তি শুরু হবে। আর আপাতত সেটাই চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেদেশে অবৈধ পাঁচ হাজার অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরাতেই এই সেনা-বিমানের ব্যবস্থা করেছেন ট্রাম্প। এই পাঁচ হাজার অভিবাসীর মধ্যে বেশিরভাগটাই ভারতীয়। নিজের নির্বাচনী প্রচারকালেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে সবার আগে বাইডেনের করে যাওয়া অভিবাসী নীতিকে আরও কড়া করবেন তিনি।
তাঁর বরাবরের দাবি, আমেরিকার অন্দরে সংগঠিত সকল প্রকারের অবৈধ ও অপরাধ মূলক কাজের নেপথ্যে একমাত্র দায়ি বাড়তে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা। তাই সেই ‘অপরাধ কমাতেই’ একেবারে গোড়া থেকে ‘ছেঁটে দেওয়ার’ পদ্ধতিতে নেমেছেন তিনি।
পিউ রিসার্চ সূত্রে খবর, বর্তমানে আমেরিকায় কমপক্ষে সাত লক্ষের বেশি ভারতীয় অভিবাসী রয়েছেন। যাদের প্রত্যেককেই দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও এ প্রসঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তবে শুধু ভারতীয়ই নয়। দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে বহু অবৈধ লাতিন আমেরিকা থেকে আগত অভিবাসীদেরও গ্রেফতার করেছে ট্রাম্পের পুলিশ। ইতিমধ্যে, তাদেরও নিজ ঘরে ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করে ফেলেছেন ট্রাম্প। বিমানবন্দরে দাঁড় করানো হয়েছে আরও কিছু সেনা-বিমান।

দেশের অভিবাসী সমস্যা মেটাতে বরাবরই সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মত ওয়াকিবহাল মহলের। এর আগেও আমেরিকা-মেক্সিকোর সীমানায় বসবাসকারী অভিবাসীদের উচ্ছেদে সেনা পাঠিয়েছেন ট্রাম্প।