সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হলো এবারের রাজ্য বাজেটে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীসহ পেনশনভোগীরা। আজ রাজ্য বিধানসভায় 2025-26 অর্থ বর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে গিয়ে এই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে মাসিক ভাতা বাড়ানো মেয়েদের কদিন ধরে জল্পনা চলতে থাকলেও সেই ভাতা বাড়ানোর বিষয় কোন ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার। তবে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের অভিমুখ রয়েছে এবারের রাজ্য বাজেটে।
২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে শিল্প, কর্মসংস্থানকে যে রাজ্য সরকার যে গুরুত্ব দিচ্ছে তা স্পষ্ট রাজ্য বাজেটে। শিল্প, বাণিজ্য ও শিল্পোদ্যোগ এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ, বস্ত্র বিভাগে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলো। বাংলা যে জিডিপির সর্বভারতীয় হারের তুলনাতেও ভালো জায়গায় রয়েছে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। এ বারের রাজ্য বাজেটে শিল্প, বাণিজ্য ও শিল্পোদ্যোগ বিভাগের জন্য ১,৪৭৭.৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে তা ছিল ১,৪৬৩.৭৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গে ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প আছে, যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। এবারের রাজ্য বাজেটে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগের জন্য ১২২৮.৭৮ কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গত অর্থবর্ষের বাজেটে তা ছিল ১,২৬২.১০ কোটি টাকা।
বাজেট বিবৃতিতে উল্লেখ, দ্য বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ৪০ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। ২১২টি মউ ও লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিভিন্ন বিনিোগ ও প্রয়োজনীয় প্রকল্পের ছাড়পত্র প্রদান ত্বরান্বিত করতে রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী এক জানালা বিশিষ্ট বিনিয়োগ প্রস্তাবের ছাড়পত্র হিসেবে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে স্টেট লেভেল ইনভেস্টমেস্ট সিনার্জি কমিটি গড়েছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও কোরিয়া এক্সিম ব্যাঙ্কের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় রঘুনাথপুর-তাজপুর, ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-কোচবিহার, খড়গপুর-মোরগ্রাম ও গুরুডি, পুরুলিয়া-জোকা শিল্প ও অর্থনৈতিক করিডর স্থাপন হচ্ছে। প্রাথমিক প্রকল্প ব্যয় ৪,৪০০ কোটি টাকা। এই পরিকল্পনা রাজ্যে দক্ষ লজিস্টিক্সের উন্নয়নের জন্য লগ্নিতে সাহায্য করবে। অমৃতসর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর নির্মাণের স্বার্থে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ২,৪৮৩ একর শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ-সহ ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী তৈরি করা হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা অশোকনগরে তেল ও গ্যাস আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অশোকনগর ফিল্ডে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজের জন্য ওএনজিসির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এটি রাজ্যকে শক্তি নিরাপত্তা প্রদান করবে।
দেওচা-পাচামী পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ব্লক। এখানে রয়েছে ১,২৪০ মিলিয়ন টন কয়লা ও ২,৬০০ মিলিয়ন টন ব্যাসল্টের সম্ভার। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত কয়লা নিষ্কাশনের অংশ হিসেবে ব্যাসল্ট মাইনিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমানের গৌরাঙ্গডি কোল মাইন থেকে প্রায় ৬২ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের কাজ আগামী মার্চে শুরু হবে। ৫৫ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে জমি কেনা এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজে। পরের ২৭ বছরে এর পরিমাণ বাড়বে, প্রতি বছরে প্রায় ২.৫ মিলিটন টন হবে।
বীরভূম ও পুরুলিয়া জেলায় গ্রানাইট, ব্ল্যাকস্টোন, কোয়ার্টজ ইত্যাদির মাইনের কাজ চলছে। জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে টি ট্যুরিজমেও। যাতে ৭ হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে ৭৯৫ কিলোমিটার গ্যাস লাইনের কাজ হয়েছে। আনুমানিক ব্যয়-বরাদ্দ ৫৩২২ কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ১৭ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরি হবে। গৃহ, শিল্প ও পরিবহণ ক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন নির্মলা সীতারমন। তার ঠিক ১২ দিন পর আজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন মমতা ক্যাবিনেটের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের এই বাজেট যা বর্তমান সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৬ সালে যেহেতু বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তাই আগামী অর্থবর্ষে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করা হবে। এবারের বাজেট আয়তনে গত অর্থবর্ষের বাজেটের তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ বড়। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বাংলার বাজেট হয়েছে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। এই বাজেটের আকার হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৯ কোটি টাকা বা প্রায় ৪৪.৯ বিলিয়ন ডলার। এবারের বাজেটে সমাজকল্যাণ, গ্রামীণ উন্নয়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে রাজ্য সরকার পরিকাঠামো ও কৃষি উন্নয়নে বরাদ্দ অনেক বাড়িয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হয়েছে ৪ শতাংশ। এই বর্ধিত ডিএ-র সুবিধা পাবেন পেনশনভোগীরাও।
৪ শতাংশে খুশি নয় সরকারি কর্মচারীরা
বাজেট বক্তৃতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে যে পরিমাণ ডিএ বাড়ানো হয়েছে, তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আর বাজেটের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিলেন যে মহার্ঘ ভাতার ‘সবটাই ক্লিয়ার’ করে দেবেন। তবে একলপ্তে সেটা হবে না। হাতে যেমন অর্থ থাকবে, সেইমতো ধাপে-ধাপে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার বাজেট পেশের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আরও চার শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে। পে কমিশনের (বেতন কমিশন) অনুমোদন, পে কমিশনের টাকা-সহ এই ডিএটা দেওয়া হচ্ছে (কিন্তু)। অর্থাৎ অনেকটাই বেড়ে গেল। ভবিষ্যতে তাঁরা আরও পাবেন যখন সময় হবে। আমরা টাইম-টু-টাইম….আমরা সবটাই ক্লিয়ার করব। এরকম নয় যে একদিনেই সবটা হতে পারে। কারণ আমরা পে কমিশন করেছিলাম।’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘পে কমিশনের (বেতন কমিশন) অ্যাডভান্টেজ অনেকটাই পান তাঁরা (রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা)’। কেন্দ্রীয় সরকারের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সার্ভিস রুল আলাদা। কেন্দ্রের ওরকমভাবে পে কমিশন নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আছে। রাজ্য সরকারের পে কমিশনের টাকাটাও দিই। সুতরাং সবটা মিলিয়ে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা (রাজ্য সরকারি কর্মচারী) খুশি হলে আমিও খুশি হব। বাকি টাকাটা ধাপে-ধাপে (দেওয়া হবে), যখন আমাদের টাকার সংকুলান হবে। এত প্রকল্প চালাচ্ছি।’ সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার যে সব সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প চালাচ্ছে, তাতে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রচুর অর্থ বেরিয়ে যায়।
যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা নির্ঝর কুণ্ডু বলেন, ‘আপনি বকেয়া ডিএ দেবেন না। কিন্তু কর্মচারীরা তাঁদের অধিকার ছিনিয়ে নেবেন। সরকারকে চ্যালেঞ্জ থাকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে।’
যদিও রাজ্য বাজেটে ডিএ নিয়ে ঘোষণা শোনার পরই আনন্দে ফেটে পড়েন বিধানসভার কর্মীরা। কক্ষের বাইরে সবুজ আবির মেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী বেরনোর সময়ও। শোনা যায়, জয় বাংলায় স্লোগান। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা তথা ডিএ-র ফারাক নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মনে অসন্তোষ রয়েছে বহু দিন ধরে। ডিএ নিয়ে আন্দোলন কম হয়নি। তার উপর আবার কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করে দিয়েছে। যার সুপারিশ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা।
আশা ও অঙ্গনওয়াড়িদের স্মার্টফোন
বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় চন্দ্রিমা ঘোষণা করেন, রাজ্যের প্রায় লক্ষাধিক আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য এ বারের বাজেটে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ”আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা তৃণমূল স্তরে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধন করেন। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান করেন। এ ছাড়াও, অন্যান্য অ-সংক্রামক ব্যাধি যেমন, ডেঙ্গু, রক্তচাপ, মধুমেহ, যক্ষ্মা, ক্যানসার ইত্যাদি রোগের নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই এঁদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে কাজের সুবিধার জন্য সরকার ৭০ হাজার আশাকর্মী এবং এক লক্ষেরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে স্মার্টফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে তাঁরা আরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।”
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ বৃদ্ধি রয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাবে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থ উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তার জন্য এবারের বাজেটে বিপুল বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৬ লক্ষ অতিরিক্ত যোগ্য পরিবারকে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই পর্যায়ের প্রথম কিস্তির টাকা, পরিবার পিছু ৬০,০০০ টাকা হারে, এই বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রদান করা হবে বলে বাজেটে জানানো হয়েছে। যে কারণে ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বলা হয়েছে এই পর্যায়ের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বাড়ি নির্মাণের অগ্রগতির ভিত্তিতে প্রদান করা হবে। এছাড়া, আরও আবেদনকারী থাকলে এই প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে একই প্রক্রিয়ায় সেই আবেদনগুলি বিবেচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে রাজ্য বাজেটে। বস্তুত, ‘বাংলার আবাস যোজনা’ প্রকল্পে ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার দেয়। গরিব মানুষদের সাধ্যের মধ্যে বাসস্থান প্রদানের প্রকল্প ২০১৫-১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। ২০২১-২২ পর্যন্ত এই স্কিমে ৩৪,১৮,৯৫৯ টি বাড়ি তৈরি হয়।

গত বাজেটে গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) সম্পূর্ণ এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি বাজেটে এই সেতু নিয়ে বড় ঘোষণা করল সরকার। অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। প্ল্যানের কাজ শেষ হবে দুই বছরে। প্রকল্পের মোট খরচ ১৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। ফারাক্কার জন্য নদী ভাঙন বন্ধে ২০০ কোটি টাকার মাস্টার প্ল্যানের কথা বলা হয়েছে।