শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
আলিপুরের ধনধান্য স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য শুরু করার আগে থেকেই কি হয় কি হয় একটা টেনশন কাজ করছিল সকলের মধ্যেই। আর জি করের আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করে স্লোগান দিয়ে উঠবেন কিনা সেই আশঙ্কায় তটস্থ ছিল কলকাতা পুলিশের সর্বস্তরের পুলিশকর্মীরা।
বারে বারে ওয়াকিটকিতে খোঁজ নিচ্ছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
কিন্তু নিজস্ব ভঙ্গিমায় বক্তব্য রাখতে উঠেই কিভাবে প্রতিবাদীদের চুপ করাতে হয় সেই কৌশল প্রয়োগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বক্তব্যের একেবারে শুরুর দিকেই সম্পূর্ণ সারপ্রাইজ দিয়ে ঘোষণা করে দিলেন ডাক্তারি পড়ুয়া ইন্টার্ন দের ভাতা বাড়ানো হচ্ছে মাসিক 10000 টাকা করে। মমতার বক্তব্য শুনে গগন বিদারী হাততালিতে ফেটে পড়লো আলিপুরের ধনধান্য স্টেডিয়াম।
ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে এই বৈঠকের আয়োজন করছিল স্বাস্থ্যদফতরের গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেল। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। ডাকা হয়েছিল মেডিক্যাল পড়ুয়া, অধ্যাপক, রেসিডেন্ট ডক্টরস ও মেডিক্যাল অফিসারদেরকেও। এরই মধ্যে সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, অভয়ার ন্যায়বিচার-সহ মোট ১১ দফার দাবিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন তাঁরা। স্বাভাবিক কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এদিন ফের উঠে এসেছে সেই আরজি কর প্রসঙ্গ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিনিয়র ডাক্তারদের স্যালারি ১৫ হাজার বাড়ালাম। সর্বস্তরের সিনিয়র রেসিডেন্টদের স্যালারি ১৫০০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্টার্ন, হাউজস্টাফ, পিজিটি-দের জন্য ১০ হাজার টাকা বাড়ালাম।’

হিসেব অনুযায়ী এই বেতন বৃদ্ধির ফলে টাকার অঙ্ক দাঁড়াল, সিনিয়র ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের বেতন ৬৫ হাজার থেকে বেড়ে হল ৮০ হাজার টাকা। সিনিয়র ডিগ্রি চিকিৎসকদের বেতন বেড়ে হল ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকা। এবং পিডিটি এস আর-দের বেতন বেড়ে দাঁড়াল ৭৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা।