সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বাংলা এক্স ছোট বড় মেজো সেজ বিজেপি নেতা চেনা যেত সঙ্গে থাকা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দেখে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতায় আসতে না পারার পরেই বেশ কিছু বিজেপি নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেঁটে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সংখ্যাটা আরো বেড়েছিল ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালের তুলনায় বাংলায় বিজেপির ফলাফল খারাপ হওয়ার পরে।
এবারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রায় এক বছর বাকি থাকবেই বাংলার আরও ৩২ ছোট বড় মেজ বিজেপি নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাতিল করে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই তালিকায় রয়েছে একাধিক জেলা সভাপতি থেকে প্রাক্তন সাংসদও। যদিও বঙ্গ বিজেপির একাংশের দাবি, নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই নিরাপত্তার বিষয়টি মূল্যায়ন করে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ জন বার্লার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। চব্বিশের লোকসভা ভোটে দল টিকিট না দেওয়ায় বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল বার্লা। অন্তর্ঘাতের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার খবর সামনে আসে। ঘাসফুল শিবিরেও যোগ দেওয়ার খবর হাওয়ায় ভাসছিল। এরপরই বার্লার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নিল কেন্দ্র।
শুধু বার্লা নন, এই তালিকায় নাম রয়েছে, তফসিলি জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার, রাজ্যের বিজেপি-র সহ-আহ্বায়ক দেবব্রত বিশ্বাস, কোচবিহার জেলা বিজেপির অভিজিৎ বর্মন, নদিয়ার জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস ববির। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে পরাজিত প্রার্থীদেরও নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। এর মধ্যে রয়েছেন উলুবেড়িয়ার পরাজিত প্রার্থী অরুণোদয় পালচৌধুরী, আরামবাগের পরাজিত প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, জঙ্গিপুরের পরাজিত প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ, তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ডায়মন্ডহারবার বিধানসভার পরাজিত প্রার্থী দীপক হালদার, জয়নগরের পরাজিত প্রার্থী অশোক কাণ্ডারি, মথুরাপুরের পরাজিত অশোক পুরকাইত।

কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার, ডায়মন্ড হারবারের দেবাংশু পাণ্ডা, বীরভূমের দেবাশিস ধরের। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে, তমোঘ্ন ঘোষ, শঙ্কুদেব পণ্ডাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রয়েছেন, লোকনাথ চট্টোপাধ্য়ায়, নির্মল সাহা, নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও।