প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
পেনশনভোগীদের জন্য বার্ষিক জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পেনশনের অব্যাহত প্রাপ্তির জন্য আবশ্যক। ১ নভেম্বর থেকে ৮০ বছরের কম বয়সীদের জন্য লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার উইন্ডো খোলা হয়েছে। বর্তমান সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ৬৯.৭৬ লক্ষ পেনশনভোগী রয়েছেন, যাদের নভেম্বরের শেষ নাগাদ শংসাপত্র জমা না দিলে ডিসেম্বর থেকে পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে।
পেনশনভোগীরা তাঁদের জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমত, তারা সরাসরি ব্যাংক, পোস্ট অফিস বা অন্যান্য নির্ধারিত স্থানে শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। অফলাইনে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শংসাপত্রটি স্থানীয় ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে, অনলাইনে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও সহজ। পেনশনভোগীরা ‘আধার ফেস আরডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁদের পরিচয় প্রমাণীকরণ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে, তাদের আধার নম্বর পেনশন বিতরণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপডেট করা থাকতে হবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘আধার ফেস আরডি’ এবং ‘লাইফ সার্টিফিকেট ফেস অ্যাপ’ ডাউনলোড করার পর, পেনশনভোগীদের প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে এবং ছবি তুলতে হবে। নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট ডাউনলোডের লিঙ্কও পাঠানো হবে।
লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৮০ বছরের কম বয়সীদের জন্য লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময় ১ থেকে ৩০ নভেম্বর, এবং ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর। সময়সীমা মিস করলে পরবর্তী মাস থেকে পেনশন প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে, তবে শংসাপত্র জমা দেওয়ার পর আবার পেমেন্ট শুরু হবে।
বিশেষ ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ক্যাম্পেইনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার পেনশনভোগী ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণ করেছেন। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী এই প্রচারাভিযান চলবে, যা পেনশন ও পেনশনার্স কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে।