সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
গ্রীষ্মকাল এলেই যে সমস্যা মাথাচাড়া দেয় সেটা হল জলকষ্ট, অথচ শহর কলকাতায় এমন বহু কল দেখা যায় রাস্তার ধারে যেখান থেকে ব্যাপক পরিমাণে জলের অপচয় হয়। আজ অর্থাৎ সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়। সেখানেই বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফ থেকে শঙ্কর ঘোষ রাজ্যে হওয়া জল অপচয়ের সম্পর্কে জানতে চান সরকারের তরফ থেকে। যার উত্তরে কলকাতা শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ”আমাদের সরকারের লক্ষ্য রাস্তার ধারের কলের (স্ট্যান্ড পোস্ট) সংখ্যা কমানো।এখন সব বাড়ি বাড়ি জল দেওয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি বাড়িগুলিতে জলের ট্যাঙ্ক করে জল ধরে রাখতে, যাতে সারা দিনই বাড়িতে জল পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় এখনও সমস্যা আছে। কোথাও বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে সমস্যা, কোথাও আবার শরিকি সমস্যা। তাই আমরা কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার ধারের কল (স্ট্যান্ড পোস্ট) রাখতে বাধ্য হই।”
এখানেই শেষ নয় তিনি আরও বলেন, ”রাজ্যের পুরসভা এলাকাগুলিতে মোট ৭৩ হাজার স্ট্যান্ড পোস্ট রয়েছে। সেখানে জলের অপচয় রুখতে ট্যাপ লাগানো থাকে। কিন্তু তার পরেও দেখা যায় বহু জায়গায় স্ট্যান্ড পোস্ট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ট্যাপ লাগানো থাকলে জলের গতি একটু কম হয়। একটি বালতি ভরতে পাঁচ মিনিট সময় লাগতে পারে। আর স্ট্যান্ড পোস্টের মুখ ভেঙে দেওয়া হলে সেখানে তিন- চার মিনিটে একটি বালতি ভরে যায়।”
পুরমন্ত্রীর কথায়, ”কলকাতা পুরসভা এলাকায় আমরা ৩-৪ বার করে স্ট্যান্ড পোস্টের ট্যাপ লাগিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি ভেঙে দেওয়া হয়, তবে আমরা স্ট্যান্ড পোস্ট তুলে নেব।” তাঁর আরও সংযোজন, ”জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন জলই জীবন। তাই জীবনের কর হয় না। তাই যেখানে বাণিজ্যিক ভাবে জলের ব্যবহার হয় না বা তুলনামূলক কম জলের ব্যবহার হয় সেখানে আমরা কর নিই না। সেখানে যদি জলের অপচয় হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।”

ফিরহাদ আরও বলেন, ”৭৩ হাজার স্ট্যান্ড পোস্টের মুখে ট্যাপ বসানো হয়ে গিয়েছে। ২৮২৩টি স্ট্যান্ড পোস্টের মুখে এখনও ট্যাপ লাগানো হয়নি। এর মধ্যে বহু ক্ষেত্রে ট্যাপ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” তথ্য দিয়ে পরে পুরমন্ত্রী জানান, জলের অপচয় রুখতে সাড়ে ৬৪ লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছে সরকার। মার্চ মাসের মধ্যে আরও ১১ লক্ষ ৮২ হাজার বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।