ব্রেকিং

Rajshahi Dengue : ডেঙ্গুর ভরা মৌসুমে ওষুধ সংকটে রাসিক

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ। চলছে ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তবে এই সংকট সময়েও মশক নিধনে কার্যক্রমে গা ছাড়া ভাব রাজশাহী সিটি করপোরেশনের। মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায়....

Rajshahi Dengue : ডেঙ্গুর ভরা মৌসুমে ওষুধ সংকটে রাসিক

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ। চলছে ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।

চলছে ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তবে এই সংকট সময়েও মশক নিধনে কার্যক্রমে গা ছাড়া ভাব রাজশাহী সিটি করপোরেশনের। মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায় থমকে আছে মশা নিধন কার্যক্রম।

রাসিকের তথ্যমতে, মহানগরীতে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এসব ড্রেন ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যবহার করা হয় লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টি সাইড নামের মশা নিধনের দুই ধরনের ওষুধ। গত বছরের ২ ফেব্রæয়ারি রাসিকের কাছে সরবরাহ করা হয় এক হাজার লিটার লার্ভিসাইড ও ৬০০ লিটার অ্যাডাল্টি সাইড। সেই ওষুধের বর্তমানে মজুত আছে ১০০ লিটার লার্ভিসাইড ও ২০০ লিটার অ্যাডাল্টি সাইড।

রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানান, প্রতি বছর ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার লার্ভিসাইড ও ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অ্যাডাল্টি সাইড কিনতে হয় রাসিককে। এসব প্রয়োগ ও কেরোসিন ডিজেল মিলে গড়ে প্রতিবছর মশা মারতেই রাসিকের খরচ হয় এক কোটি টাকা।

এদিকে রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর চাপও বেড়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪০ জন। শুধুমাত্র রামেক হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ৭০ জন। এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দুজনই রামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গুর লার্ভাও পাওয়া গেছে। এবছর অন্য বছরের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি।
রাজশাহী নগরীর মথুর ডাঙ্গা এলকার সামিউল ইসলাম বলেন, দিন রাতে মশা কামড়াচ্ছে। কয়েল জ্বালিয়েও নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাদের রাখতে হচ্ছে মশারির ভেতরে। তিনি বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের এলাকাতে মশা মারতে বা ওষুধ দিতে দেখিনি। এখন ডেঙ্গু হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের কাউকে মশা মারতে দেখা যায়নি। এটি দুঃখজনক।

নগরীর সালবাগান এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, মশা খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ওষুধ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। এখনো যদি সিটি করপোরেশন মশা না মারে তবে কখন মারবে। এই ডেঙ্গু চলে গেলে তো মশা মেরে লাভ নেই।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো: মামুন বলেন, আমাদের চাহিদা মতো ওষুধ নাই। মাত্র সাতদিন আমার অ্যাডাল্টি সাইড প্রয়োগ করতে পারবো। এজন্য এবার আমার ওষুধ প্রয়োগ করতে পারিনি। সামনে ব্রিডিং মৌসুমে এটি প্রয়োগ করা হবে। লার্ভিসাইট আমরা প্রয়োগ করছি। এটিও ডিসেম্বর পর্যন্ত চালাতে পারবো। এরপর আমাদের ওষুধ নেই।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মো. হুমায়ন কবির বলেন, আমাদের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওষুধ আছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি। এসব ওষুধ কিনতে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পেয়েছি। এখন আমরা দরপত্র দেবো এবং দ্রুতই ওষুধ কিনে নেবো।

আজকের খবর