সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সিপিএম শাসিত কেরালায় ফুটলো ঘাসফুল। তৃনমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃনমূলে যোগ দিলেন কেরালার বাম বিধায়ক পিভি আনবার।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের টিকিটে জিতলেও কট্টর বাম-বিরোধী হিসেবে পরিচিত কেরলের নিলাম্বুরের নির্দল বিধায়ক পিভি আনবর। আনবর এখন তীব্র বাম-বিরোধী হলেও একটা সময় সিপিআইএমের সমর্থনে জিতেছিলেন।
২০১৬ সাল এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিলাম্বুর আসন থেকে বাম-সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন। কিন্তু একাধিক ইস্যুতে সম্প্রতি বামেদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন আনবর।
মাসদুয়েক আগে সিপিআইএমের নেতৃত্বাধীন বামেদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ‘ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট অফ কেরল’ (ডিএমকে) তৈরি করেন। তারপর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (ইউডিএফ) সঙ্গে আনবরের ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত মিলেছিল। এমনকী একেবারে নিঃশর্তভাবে বিরোধী জোটকে সমর্থন করেছিলেন।
সোশাল মিডিয়ায় আনভার জানালেন, মমতার কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। পাশাপাশি, কেরলের বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধিও তৃণমূলে যোগদানের কারণ বলে জানান তিনি। এদিন আনভারকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিনকয়েক আগেই ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের (ডিএফও) অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পিনারাই বিজয়নের পুলিশ। জামিনে মুক্ত হওয়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন আনবর।
তাঁকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘কেরলের নিলাম্বুরের মাননীয় বিধায়ক পিভি আনবরকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পরিবারে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি। জনগণের সেবায় এবং কেরলের মানুষের অধিকারের জন্য তিনি নিজেকে নিবেদন করে দিয়েছেন। আর সেই বিষয়টি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে।’