সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
“২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দেশের অবিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে রেলের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্বাভাবিক হারে। বাংলায় যেখানে ব্রাক মোদি জমানায় রেলের বাৎসরিক বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৭ শতাংশ, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ শতাংশের মতো।” এভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি শাসনে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরলেন তৃণমূলের রাজ্য সভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর অস্বাভাবিক হারে বাংলার প্রতি রেলের বাৎসরিক বরাদ্দ কমানোর কারণ হিসেবে বাংলার তৃণমূল সরকারের প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকেই তুলে ধরেছেন ঋতব্রত।
রাজ্য সভায় দাঁড়িয়ে দেশের রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের এই বঞ্চনার পেছনে একটাই কারণ রয়েছে তা হল বাংলায় বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারেনি। আর সেই রাগ থেকেই বাংলার মানুষের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যে এভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।”
এরপরেই মোদি জমানায় দেশের রেল মন্ত্রকের প্রায়োরিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঋতব্রত বলেন, “আমরা বুলেট ট্রেনের বিরোধী নই। কিন্তু যেভাবে গোটা দেশে বাণিজ্য বিস্তারের জন্য ডেডিকেটেড রেল ফ্রেট করিডোর তৈরীর কাজ পেছনে ফেলে রেখে বুলেট ট্রেনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তার বিরোধী আমরা। বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় 200 কোটি টাকা। অথচ ডেডিকেটেড রেল ট্রেড করিডোর তৈরির জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ মাত্র ২৫ কোটি টাকা। কেন ফ্রেট করিডোর তৈরিতে তাহলে অগ্রাধিকার দেবে না রেল মন্ত্রক?”
এর পাশাপাশি সরাসরি রেল মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “আমরা জানতে চাই রাজ্য সরকারের তরফে যাবতীয় জমি অধিগ্রহণ সমস্যা মিটিয়ে জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া সত্ত্বেও কেন বিহারের শোননগর থেকে বাংলার ডানকুনি পর্যন্ত ফ্রেট করিডরের কাজ গত ১২ বছর ধরে আটকে পড়ে রয়েছে? এই কাজ শুরু করা গেল না? এই ফ্রেট করিডোর তৈরি হলে সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা তাদের পণ্য সহজে পরিবহন করতে পারতেন এবং তার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরো কমানো সম্ভব হতো।”