শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
আগেই মিলেছিল অন্তর্বর্বর্তী জামিন। এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ল কালীঘাটের কাকুর অন্তর্বর্বর্তী জামিনের মেয়াদ। জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতাকে কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর তিনি আপাতত মুক্তি পেলেন। তবে ইডির মামলায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও, সিবিআইয়ের মামলায় এখনও ঝুলে রয়েছেন তিনি।
গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল। প্রথম দফায় জামিনের মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এরপর গত শুক্রবার তিনি জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন এবং সোমবার আদালত এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আগের শর্ত কিছুটা শিথিল করল হাইকোর্ট।
জামিনের শর্ত অনুযায়ী, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আদালতে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সুজয়কৃষ্ণের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করছে এবং তাঁদের ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।তাঁর বাড়ির দোতলা দখল করেছে বাহিনী, সারাদিন এসি চালিয়ে বসে রয়েছে। নীচতলায় শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঘরের শৌচাগার ব্যবহার করছে বাহিনী।হাসপাতালে গেলেও বাহিনী পিছু নিচ্ছে এবং রুমে কারা আসছেন-যাচ্ছেন, তা নজরদারি করছে।

সোমবার আদালত বাহিনী নিয়ে তাঁর অভিযোগের কিছুটা সুরাহা করেছে। বাহিনীর জন্য বাড়ির বাইরে ত্রিপল টাঙিয়ে বসার জায়গার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই অস্থায়ী শেল্টারে ফ্যানও রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আপাতত জামিনের মেয়াদ বাড়লেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে ‘কাকু’র অসন্তোষ থেকেই যাচ্ছে। ২২ এপ্রিলের শুনানির দিকে নজর থাকছে সবার!