সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
অবশেষে কাটল অচলাবস্থা! স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান এবার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তারা। শনিবার থেকে ফের কাজে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। তবে আন্দোলন চলবে। সূত্রের খবর তেমনই।
গতকাল, বুধবার নবান্নে সভাঘরে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে রাজ্য়ের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সকদের রেস্টরুম ও নিরাপত্তার দাবিতে সরব হন চিকিত্সকরা। অধিকাংশই দাবি মেনে নেয় সরকার, তবে কিছুটা সময় চান মুখ্যসচিব। মহিলা চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। পাল্টা সার্কুলার জারি দাবি করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ নবান্নের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে সেই নির্দেশিকা।
মুখ্যসচিবের নির্দেশিকাতেই শেষ পর্যন্ত খুলল জট। শেষ জুনিয়র চিকিৎসকদের জিবি মিটিং। অবশেষে ১১ দিনের মাথায় ধরনা প্রত্যাহার করতে চলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শুক্রবারই উঠে যাচ্ছে ধরনা। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঘোষণা আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত বিকাল ৩টের সময় মিছিলের ডাকও দেওয়া হয়েছে।
তারপরই উঠে যাবে ধরনা। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন সকলেই।
একইসঙ্গে শুক্রবার থেকে চিকিৎসা শিবির শুরু হয়ে যাবে বন্যা কবলিত এলাকায়। তবে ধরনা মঞ্চ উঠলেও সারা রাজ্যে আন্দোলন জারি থাকবে বলে এদিন বারবার জানান আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। স্পষ্ট বলেন, “আংশিক জয়ের জন্য শনিবার থেকে আমরা কাজে যোগ দিচ্ছি। আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। এই লড়াই জারি থাকবে। স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সময় চেয়েছেন। আমরা নজর রাখছি।”