সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের ঘটনায় মুখ খুললেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছু অস্পষ্টতা বা ধন্ধ রয়েছে।
কমিশন এই রায়ের প্রতিটি দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করবে। আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা হবে, এর কী কী প্রভাব পড়তে পারে এবং কমিশন কী পদক্ষেপ নিতে পারে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে। তবে, আদালত ‘অযোগ্য’ চিহ্নিত প্রার্থীদের বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। এসএসসি চেয়ারম্যানের আজকের মন্তব্য সেই প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি স্পষ্টতই বোঝাতে চেয়েছেন, কমিশন তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না এবং আইনি পথে বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পরেও, দায় নিতে নারাজ SSC। এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও তিন মাসের মধ্যে তা শেষ করা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁর কথায়, “একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া মানে তাতে কত পরীক্ষার্থী রয়েছে তার উপর নির্ভর করে। যদি চারটে সেক্টর একসঙ্গে ধরি… আগের বার ২৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্যে ২২ লক্ষ পরীক্ষায় বসেছিলেন। অর্থাৎ OMR-এর সংখ্যা ২২ লক্ষ ছিল। নবম-দ্বাদশ পর্যন্ত শিক্ষকের ক্ষেত্রটা প্রায় ৩ লাখের মতো ছিল এবং গ্রুপ C-D মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ। কত প্রার্থী এবং কতগুলি সেক্টর হচ্ছে তার উপর সময় কতদিন লাগবে নির্ভর করছে। তবে তিন মাসে কখনই সম্ভব নয়। সরকার থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে করব। কিন্তু তার আগে আইনি ছাড়পত্র নিতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট, সেটা মাথায় রাখা হবে।”