সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা আনতে এবার থেকে বিডিওদের সপ্তাহে একদিন গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য জুড়ে জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই মুর্শিদাবাদে পৌঁছন মমতা। সেখান থেকে মালদহ। মঙ্গলবার ইংরেজবাজারে পরিষেবা প্রদান সভায় যোগ দেন তিনি। মালদহে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করে মমতা কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গে সুর চড়ান। একইসঙ্গে জানুয়ারি মাসের বিশেষ দিন নিয়ে করলেন বড় ঘোষণা।
মঞ্চে সদ্য প্রয়াত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের ছবিতে মালা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ডুয়ার্স থেকে এবার নেতাজি জন্ম জয়ন্তী পালন করব। শহর ও পাহাড় থেকে অনেকবার করেছি। এবার ডুয়ার্সে ঘুরে ঘুরে করব। আমি স্বজন হারিয়েছি। চৈতালি বাবলার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করব। মাফিয়াদের জায়গা এই সমাজে নেই। যারা সন্ত্রাস করে, যারা মা বোনেদের ওপর অত্যাচার করে তাদের জায়গা এই সমাজ নয়। চৈতালির পাশে আমরা সবাই আছি।”
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। সোমবার রাতে মালদহে পৌঁছে মঙ্গলবার ভোরেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ -সহ জেলার একাধিক সরকারি জায়গা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যসচিব।
মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে একথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্র্রী বলেন, “বিডিওদের বলছি, মুখ্য সচিবকে দেখে শিখুন। কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে হয়।”
খানিক থেমে মমতা জানিয়ে দেন, শুধু বিডিওদের বলছি তা নয়, এটা সরকারি আধিকারিক থেকে জন প্রতিনিধি সকলের জন্য। মানুষের পরিষেবা নিশ্চিত করতে সকলকে যেতে হবে মানুষের কাছে।
মমতা বলেন, “বিডিওদের দেখে বলব শিক্ষা নিন। আমার মুখ্যসচিব ভিজিট করছেন। বিডিও, ওসি, জেলা পরিষদ, এমএলএদের বলব আপনারা ভিজিট করুন। সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টা গরীব মানুষের বাড়ি গিয়ে বসুন। চা, দুধ নিয়ে যান। তাদের সাথে বসে চা খান। মাটির দাওয়া, খাটিয়ায় বসবেন। আর সমস্যা আছে কিনা তা জানবেন। সমস্যা থাকলে দুয়ারে সরকারে যেতে বলবেন।”
আরজি কর প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “আমরা যে কেস নিই, যে কথা প্রথম বার বলি, সেটা নিয়েই থাকি। দেখলেন তো আরজি কর। কেউ যদি দানবিক, পৈশাচিক হয় তার জন্য কী করে মানবিক হয়। যে অন্যায় করল তাকে কি করে ক্ষমা করব? আমি শকড। আমরা প্রথম দিন থেকেই ফাঁসি চেয়েছি। জাজমেন্ট আমার প্রথম পছন্দ হয়নি। হ্যাঁ এটা সংবেদনশীল বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। ভাইদের দায়িত্ব দিচ্ছি বোনেদের দেখে রাখবেন। বোনেদের বলব কোথাও কিছু দেখলে পুলিশকে জানাবেন।”