প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
সামনেই রয়েছে গরমের ছুটি। এই ছুটিতে হানিমুন বা একা ঘুরতে যাওয়ার জন্য সেরা সময়। এই সময় বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। কিন্তু সেই ইচ্ছা কি পূরণ হয় সময়? এক তো অনেকটা সময়, আবার বিশাল খরচা।
তাহলে কি ইচ্ছা পূরণ করবেন না? আজ্ঞে না! এবার সব ইচ্ছাই হবে পূরণ। আমাদের দেশেই এমন কিছু গন্তব্যের হদিশ নিয়ে এসেছি, যা আন্তর্জাতিক গন্তব্যের (India’s destination that gives an international feel) মতোই সুন্দর ও আকর্ষণীয়। কথা দিচ্ছি এগুলি মন কাড়বে আপনার।
শ্রীনগর (Srinagar)
চারদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। তার মধ্যে রয়েছে রকমারি ফুলের সমাহার। কাশ্মীরের টিউলিপ গার্ডেন এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিউলিপ ফুলের বাগান। যদিও এর নাম ‘ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন’। মাঠের পর মাঠ ফুটে রয়েছে লাল, হলুদ, সাদা টিউলিপ। একসঙ্গে এত টিউলিপ দেখা এক বিরল অভিজ্ঞতা আপনি এখানে এসেই দেখতে পারবেন।
গুলমার্গ, কাশ্মীর (Gulmarg, Kashmir)
কাশ্মীরের গুলমার্গে যাওয়া পর্যটকদের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অ্যাডভেঞ্চার কার্যকলাপ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। গুলমার্গ হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং চারপাশের তুষারশুভ্র পর্বত, সবুজ ঘাসভূমি, এবং স্ফটিক স্বচ্ছ হ্রদ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শীতকালে তুষারে ঢেকে এক মায়াবী রূপ ধারণ করে এই স্থান। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে টাটকা-ঠাণ্ডা পরিবেশে ভ্রমণের জন্য আদর্শ করে তোলে। এখানে স্কিইং, স্নোবোর্ডিং এবং অন্যান্য শীতকালীন কার্যকলাপের সুযোগও রয়েছে।
খাজ্জিয়ার, হিমাচল প্রদেশ (Khajjiar, Himachal Pradesh)
হিমাচল প্রদেশের অপূর্ব সুন্দর শৈল শহর খাজ্জিয়ার। হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায় এই গ্রামের অবস্থান। এই গ্রামের প্রাকৃতিক শোভা দেখেই এর নাম ‘মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড’। এখানে বেড়াতে নয়, অবকাশ কাটাতে যান পর্যটকরা। এখানকার প্রকৃতির অপূর্ব রূপ, নিঃস্তব্ধতা এবং একান্ত অবকাশ আপনার মনকে শান্ত করবে। ঘন পাইন বন, ছোট্ট লেক, পাহাড়ি উপত্যকার ঢাল বরাবার রংবেরঙের বাড়ি, ঠিক যেন হাতে আঁকা এক সিনারির মত।
যদিও তুষারপাতের সময় খাজ্জিয়ারের সৌন্দর্য দেখে সুইজারল্যান্ডও ইর্ষা করবে। ১০ হাজার টাকারও কম খরচে এই মনোমুগ্ধকর স্থানটি ঘুরে দেখতে পারেন।
উদয়পুর লেক প্যালেস (Udaipur Lake Palace)
উদয়পুরের অন্যতম সেরা পর্যটন স্থান। উদয়পুরে দেখার জন্য এই সুন্দর জায়গাটি পিচোলা লেকের পাশে বসে এবং এর আশেপাশের পরিবেশ দেখায়। প্যালেসটি ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং রাজপুত সাম্রাজ্যের স্থাপত্য শৈলীর মধ্যে অপরিমেয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। প্যালেসটি রাজস্থানের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি, যেখানে রয়েছে জমকালো বারান্দা, বাগান, টেরেস, এবং প্যাভিলিয়ন।
আন্দামান ও নিকোবর (Andaman and Nicobar)
বহু আগে আন্দামান এবং নিকোবরকে এক মায়াবী দ্বীপ বলেই মনে করা হত। অরণ্য, সমুদ্রসৈকত, সমুদ্রতলের প্রবালরাজ্য, প্রাচীন গাছ, ফুল, পাখি, ফল এবং জারোয়া গোষ্ঠীর মানুষ নিয়ে আন্দামান ও নিকোবর যেন অজানা এক পৃথিবী। বনানীর নীরব ছায়ায় ঢাকা দ্বীপের শরীর, সেখানকার আদি বাসিন্দারা আবিষ্কৃত হল ধীরে ধীরে। তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাছ ধরা নিষিদ্ধ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। এই জায়গা কোনও ভিসা ছাড়াই আপনাকে দেবে বিদেশের অনুভূতি।