সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
আরও এক মৃত্যু, আরও একজন বাবা-মায়ের কোল খালি হল। স্বামীকে হারাল সদ্য একবছর বিবাহিত স্ত্রী। ঘটনাস্থল সেই আরজি কর। কারণ আবার সেই বিনা চিকিৎসা।
আরজি কর হাসপাতালে বছর ২৩-এর যুবকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুতে হাহাকার বাবা-মায়ের। গত মঙ্গলবার জ্বর নিয়ে নদীয়ার গিলা পোলের বাসিন্দা নন্দ বিশ্বাসকে ভর্তি করানো হয়েছিল আরজি করে। কিন্তু তেমনভাবে পরিষেবা পায়নি যুবক।
মৃতের ভাইয়েরা অভিযোগ করে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অবস্থার অবনতি হয়, মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়, মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করে দাদার। বহুবার বলেও কোনও চিকিৎসক বা নার্সের খোঁজ মেলেনি। বহুক্ষণ বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বছর ২৩-এর নন্দ। এরপর চিকিৎসক এসে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা যদি তারা না-ই করতে পারবে তাহলে অন্তত বলে দিতে পারত!
তাঁর কথায়, আমরা গরিব মানুষ। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। সরকারি হাসপাতালগুলো যদি পরিষেবা না দেয় তাহলে আমরা কোথায় যাব! আমার ছেলেটাকে ওরা বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলল। পরিবারের দাবি, আরজি করের চিকিৎসকেরা সাফ জানান, আপনারা জানেন এখানে চিকিৎসা হচ্ছে না, গন্ডগোল চলছে, তাহলে কেন রোগীকে নিয়ে এসেছেন?
নদিয়ার এক যুবকের মৃতু হলো আরজিকর হাসপতালে। নদিয়ার রাণাঘাট ২ ব্লকের গাংনাপুর থানার আইসমালি বেলেহাটি পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন মৃত যুবক নন্দ বিশ্বাস , বয়স ২৪ বছর।
বৃহস্পতিবার আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। এরপর শুক্রবার বাড়িতে আরজিকরের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত বাবা।
তিনি বলেন, চার দিন ধরে ছেলেটা ভর্তি ছিল। বিনা চিকিৎসায় মরতে হলো। আমরা বাড়ির লোক হয়ে কখনো চোখের সামনে দেখলামই না ডাক্তার এসে চিকিৎসা করছে। নার্সদের যখনই বলতাম তখনই তারা উত্তর দিত ডাক্তার নেই। আর না হলে খবর দিয়েছি পরে আসবে। অন্যায়ের বিচার হওয়া দরকার। যাতে অন্য কারো কোল খালি না হয়। আমার মত অনেক পরিবার ওখানে রয়েছে। অধিকাংশ রোগী ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না এবং মারা যাচ্ছে।