সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
“আমাকে অনেক গালিগালাজ করেছেন, অসম্মান করেছেন। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে বদলা নিইনি। বদলা নয়, বদলের কথা বলেছি। কিন্তু আজ বলছি, এবার যা করার দরকার, ভাল বুঝে করবেন। আমি অশান্তি চাই না, কিন্তু আপনাকে যারা রোজ কামড়াচ্ছেন, তাদের কামড়াতে বলছি না, কিন্তু ফোঁস তো করতে পারেন।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে এভাবেই সিপিএম এবং বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, “আগামী দিন আপনাদের কাজ হল, চক্রান্তকারীদের ফোঁস করতে শিখুন। সহ্যের সীমা ছাড়ালে আমি কী করতে পারি, জানেন না। আমার জন্ম হয়েছে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে।”
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় সিবিআই-কে নিশানা করে মমতা বললেন, “আমি মা-বাবাকে বলেছিলাম, আমাকে শনিবার পর্যন্ত টাইম দিন। মঙ্গলবারের মধ্যে সিবিআই হয়ে গেল। তার মানে ওরা বিচার চায় না। কেসটা জলে ফেলে দিল। আজ কত দিন হয়ে গেল? আজ ১৬ দিন হয়ে গেল, কোথায় গেল বিচার? জবাব দাও সিবিআই।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, সামনে পুজো, কত গরিব মানুষ সারা বছরের আয় করে পুজোর সময়। সেগুলো বন্ধ করার প্ল্যান করছে। আমি করতে দেব না। কেউ কেউ বলছে, এটা বাংলাদেশ করবে। মোদীবাবু আপনার দলকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? মনে রাখবেন, বাংলায় আগুন লাগলে, অসম, উত্তর-পূর্ব, দিল্লি, অসমও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারও থাকবে না। ক্ষমতা থাকলে ভোটে যান। গুলি, ডেডবডি, লাশ নয়। কেন ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আনছেন না মোদীবাবু? যতই ফান্ডিং করুন, মনে রাখবেন, ওই ফান্ডিংকে আমরা এন্ডিং করে দেব।
আপনারা আগামী শুক্রবার কলেজের গেটে গেটে ফাঁসির দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন করবেন। আমি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ শুধু নয়, সব নেতা, সাংসদ, মন্ত্রীরাও থাকবেন। ব্লক প্রেসিডেন্টদের বলছি, শনিবার সব ব্লকে ব্লকে মিছিল হবে, ধর্না হবে, বেলা দুটো থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ধর্না হবে। ১ সেপ্টেম্বর ফাঁসির দাবি ও কঠোর আইনের দাবিতে চন্দ্রিমার নেতৃত্বে সব জায়গায় ধর্না করবেন মহিলারা।