শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
কলকাতার রাজপথে এবারে বাঙালি হিন্দু বাঁচানোর দাবিতে পদযাত্রা করতে চলেছে বিজেপির যুব মোর্চা। পদযাত্রার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনের প্রেক্ষিতে মিলেছে অনুমতি। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে শুরু হবে বিজেপি যুব মোর্চার এই পদযাত্রা। বিজেপি যুব মোর্চার সূত্রে জানা গিয়েছে মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই সমাবেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই শহরের রাজনৈতিক আবহে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। যুব মোর্চার দাবি, রাজ্যে বাঙালি হিন্দুদের অস্তিত্ব, অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষা নিয়ে জনমত তৈরি করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। বিজেপি-র অভিযোগ, রাজ্যে বাঙালি হিন্দুরা প্রশাসনিকভাবে উপেক্ষিত এবং নানা দিক থেকে অবহেলিত হচ্ছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই রুট ঠিক করে মিছিল করতে হবে। মিছিলে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এটি শুধুমাত্র একটি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে চাইছে যুব মোর্চা। তবে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একাংশ এই কর্মসূচিকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ইন্ধন বলেও কটাক্ষ করেছে।
শনিবারের এই মিছিল ঘিরে শহরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। বিজেপির এই কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, শহরের বুকে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার (বিজেওয়াইএম) উদ্যোগে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বাঙালি হিন্দু বাঁচাও সমাবেশ’। ঐতিহাসিক গুরুত্বে ভরা এই কর্মসূচির সূচনা হবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর এলগিন রোডের পৈতৃক বাড়ি থেকে এবং শেষ হবে ভবানীপুরে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য প্রতিষ্ঠার অন্যতম রূপকার বিধানচন্দ্র রায়ের বাসভবনের সামনে জনসভার মাধ্যমে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শহরের কেন্দ্রস্থলে জনমত তৈরির পাশাপাশি ভবানীপুরে বিজেপির সংগঠনকে চাঙ্গা করার কৌশলও রয়েছে। উল্লেখ্য, ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র, তাই এই সমাবেশের প্রতীকী গুরুত্বও যথেষ্ট।