সোমবার ঝাড়গ্রাম শহরের রূপছায়া এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির কার্যালয় প্রাঙ্গনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ওই যোগদান কর্মসূচিতে এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ঝাড়গ্রাম শহর লাগুয়া ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা অঞ্চলের পাঁচামী সংসদ থেকে নির্বাচিত নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যা দীপা পাত্র ও টেঙিয়া সংসদ থেকে নির্বাচিত নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যা আশা রানী মাহাতো এবং আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজ এর ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি রাকেশ মাহাতো সহ তাদের অনুগামীরা আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজ ছেড়ে অনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সহ সভাপতি শিবেন্দ্র বিজয় মল্লদেব ও প্রসুন সড়ঙ্গি , দলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাতো, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম মাহাতো, ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নবু গোয়ালা, ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন মাহাতো ও বিনপুর এক ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তারাচাঁদ হেমব্রম সহ আরো অনেকে। আদিবাসী কুড়মি সমাজ সমর্থিত নির্দল দুইজন পঞ্চায়েত সদস্যা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েত টি দখলের পথে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাপধরা গ্রামপঞ্চায়েত এর ১০ টি আসনের মধ্যে আদিবাসী কুড়মি সমাজ সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা পাঁচটি আসনে জয় লাভ করে এবং তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটি আসনে জয়লাভ করে। ট্রসের মাধ্যমে প্রধান ও উপ প্রধান নির্বাচিত হয় কুড়মি সমাজের দুজন নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য। দুই জন নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা পাঁচ থেকে দুই বেড়ে হল সাতজন।
অপর দিকে নির্দলদের পাঁচ থেকে দুই কমে হল তিন জন। তাই সাপধরা গ্রামপঞ্চায়েত টি হাত ছাড়া হতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে নিয়ম মানে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সহ সভাপতি প্রসূন সড়ঙ্গি বলেন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি না হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসন আমরা জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেব। আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজ এর ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি রাকেশ মাহাতো বলেন জঙ্গলমহলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আমার অনুগামীদের নিয়ে স্বেচ্ছায় আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি