রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাগ্রামের ভবানীপুর অঞ্চলের মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনারপুর থানার পুলিশ।
ছোট ফল কাটার ছুরি দিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি পুলিশের। হত্যা করার ছুরিটি ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২টি মৃত দেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম পায়েল হালদার এবং নিহত স্বামীর নাম শশধর হালদার, পেশায় ট্রেনের হকার ছিলেন তিনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অশান্তির জেরেই ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুন করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পায়েল হালদার তাঁর স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে প্রায় আট মাস ধরে সুভাষগ্রামের ভবানীপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুজনের বাড়িই কুলপি থানার দীঘির পাড় জামতলায়। সোনারপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন।
প্রায় সময়েই তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগে থাকত। তার জেরেই এই খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। আরো জানা যায়, স্বামীকে নিজের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেছিল পায়েল। এই নিয়েই দুইজনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তার রোশেই যে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে কল্পনারও অতীত ছিল পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছে।
পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সকাল থেকেই স্থানীয়রা পায়েল হালদারের আড়াই বছরের শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। তারা বার বার শশধর ও পায়েলকে নাম ধরে ডাকতে থাকে। আওয়াজ না পাওয়ায় দরজাও ধাক্কা ধাক্কি করে।
তারপর স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই আঁতকে ওঠেন। তারা দেখেন বিছানায় পড়ে রয়েছে বয়স ২৪ – এর পায়েল হালদারের গলাকাটা দেহ এবং পাশের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্বামী ৩৪ বয়সের শশধর হালদারের দেহ।
তারপরই আতঙ্কিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বাড়ির মালিক সোনারপুর থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনারপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে মযনাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবারের আগে মৃত দেহ পাবে না পরিবার। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।