শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“৫ জনকে খুন করলে ৫০০ জনকে জেল খাটাব। যদি কেউ জেলে যান তার পরিবারকে দেখবে দল। তাকে জেল থেকে বার করার ব্যবস্থা করবে দল। আর জেলের গেট থেকে তাকে মালা পরিয়ে নিয়ে আসা হবে।” এভাবেই আজ বোলপুরের নারী সম্মান যাত্রা থেকে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অনুব্রত মণ্ডলের কুকথার প্রতিবাদ করতে বোলপুরে গিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে বোঝালেন, দলীয় কর্মীদের পাশে আছে দল। এমনকী ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসার মতো পরিস্থিতি আর হবে না বলে দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একুশ আর হবে না। লোকসভা ভোটের পর কিছু করেছে? করতে দিয়েছি আমরা? ভরসা রাখুন, ২১ অতীত। যা অত্যাচার করেছে আর করতে দেব না। ভরসা রাখুন নরেন্দ্র মোদীজির ওপর। সদাইপুরের ঘটনায় যাদের জামিন হয়েছিল তাদের জামিন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে বলেছি ২ মাস এই পুলিশকে বাক্সে ভরে দিন। এই জেহাদিদের সায়েস্তা করে কী ভাবে ভোট করাতে হয় দেখিয়ে দেব।”
বীরভূমে ক্রমশ ক্ষমতা বাড়ছে কাজল শেখের। অনুব্রতর কুকথার প্রতিবাদ করতে বোলপুরে গিয়ে সেই কাজল শেখকে এবার নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি দাবি করেন, “আরেকটা গর্তে ঢুকে গেছিল। কাজল শেখ। মাল তুলছে। বীরভূম জেলা পরিষদে কোনও হিন্দু ঠিকাদার কাজ করতে পারে না। হিন্দু ঠিকাদার কাজ করতে গেলে তার কাছে ২০ শতাংশ কাটমানি চাওয়া হয়। এই টাকা সভাধিপতির ভাগ্না বাপ্পা শেখ, দিলীপ শেখ, কাদির জিলানি ও সুমন হোসেন তোলে। হিন্দু ঠিকাদারদের বাড়ি বাড়ি ভয় দেখিয়ে লেটারহেড সই করিয়ে টেন্ডার প্রত্যাহার করানো হয়। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে হিন্দু জেলাপরিষদকে হিন্দুমুক্ত করা।

বীরভূমের সমস্ত সরকারি বালিঘাট থেকে বাপ্পা শেখ ও দিলীপ শেখ টাকা তোলে। নলহাটির পাথর ক্রাশার থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লক্ষ টাকা করে কাজল শেখের কাছে পৌঁছয়। এই কাজল আমার পা ধরে পড়ে থাকত। আমি কোলাঘাটে অফিস করি। কেষ্টর চাপে কাজল তখন আমার পা ধরে পড়ে থাকত।”