ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata against Modi : “বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস বাংলা ঠিক করবে না বিজেপি ঠিক করবে? বাংলায় কোন সংবিধান হত্যা দিবস পালন হবে না ” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ উড়িয়ে ঘোষণা মমতার

Mamata against Modi : “বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস বাংলা ঠিক করবে না বিজেপি ঠিক করবে? বাংলায় কোন সংবিধান হত্যা দিবস পালন হবে না ” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ উড়িয়ে ঘোষণা মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।   “আপনারা গণতন্ত্র মানেন? আজ দেশে গণতন্ত্র আছে? বাংলা ২৫ জুন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে না।” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে বাংলায় আগামী ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবিধান হত্যা দিবস পালন করা....

Mamata against Modi : “বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস বাংলা ঠিক করবে না বিজেপি ঠিক করবে? বাংলায় কোন সংবিধান হত্যা দিবস পালন হবে না ” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ উড়িয়ে ঘোষণা মমতার

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata against Modi : “বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস বাংলা ঠিক করবে না বিজেপি ঠিক করবে? বাংলায় কোন সংবিধান হত্যা দিবস পালন হবে না ” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ উড়িয়ে ঘোষণা মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।   “আপনারা গণতন্ত্র মানেন? আজ দেশে গণতন্ত্র আছে? বাংলা ২৫ জুন গণতন্ত্র....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

 

“আপনারা গণতন্ত্র মানেন? আজ দেশে গণতন্ত্র আছে? বাংলা ২৫ জুন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে না।” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে বাংলায় আগামী ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবিধান হত্যা দিবস পালন করা হবে না বলে ঘোষণা করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২৫ জুন প্রতিটি রাজ্যকে সংবিধান হত্যা দিবস পালন করতে হবে। এই নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর প্রশ্ন, “জরুরি অবস্থার ৫০ বছর ২০২৪ সালে পেরিয়ে গিয়েছে। ২০২৫ সালে কেন সেই দিবস পালন করা হচ্ছে? এর নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে।”

২০ জুন বিজেপির পক্ষ থেকে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল কে সামনে রেখে যে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের দাবি করা হয়ে আসছে কয়েক বছর ধরে তারও বিরোধিতা করে মমতা বলেন, “কেন স্বাধীনতার আগের একটা দিনকে আমরা ধরব? বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস বাংলা ঠিক করবে না আপনারা ঠিক করবেন? বিজেপি সবকিছু চাপিয়ে দেবে? ওরা ঠিক করে দেবে বাংলা কবে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করবে, নজরুল জয়ন্তী পালন করবে, পয়লা বৈশাখ কবে পালন করবে? বাংলা কী খাবে, কী পরবে, আপনারা ঠিক করবেন?”

মমতা এদিন বলেন, “আমরা সবাই জানি জরুরি অবস্থার কথা। সেটা দেশের মানুষ মেনে নেননি। জরুরি অবস্থা দিবস পালন করতে পারত। গণতন্ত্র হত্যা দিবস হত‍্যা কেন?” কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “গণতন্ত্র কি আজকের ভারতবর্ষে আছে? প্রতিদিন গণতন্ত্রের হত‍্যা করা হচ্ছে। নকল একটা ধর্ম চাপিয়ে দিয়ে আপনারা নিজেদের অ্যাজেন্ডা তৈরি করছেন। বাংলার বিরুদ্ধে ভুলভাল কথা বলছেন। পার্লামেন্ট নতুন করে তৈরি করেছেন। তাহলে তো প্রতিদিন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে হবে।”

 

২৫ জুন সংবিধান হত্যা দিবস পালনের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ করে মোদি সরকারকে নিশানা করে মমতা বলেন, “নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে যারা ঠুঁটো জগন্নাথ করে দিয়েছে তারা সংবিধান বাঁচানোর বুলি আওড়াচ্ছেন। এর চেযে হাস্যকর আর কিছু হয় না। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র বিহারে কিভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন? ওটা সংবিধানের হত্যা নয়? গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতায় আপনাদের তো বিশ্বাসই নেই।”

 

“প্রধানমন্ত্রী কে? নরেন্দ্র মোদী না অমিত শাহ?”

 

কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, “জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হয় না কেন? শুধু রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআইকে কাজে লাগানো হয়। রোজ রোজ সংবিধানকে বদলাচ্ছে। রাজ্যপালদের দিয়ে রাজনৈতিক কাজ করাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কে? নরেন্দ্র মোদী না অমিত শাহ? মোদীজি বাইরে ঘুরে বেড়ান, ওনাকে ছেড়ে রেখে দিয়েছেন সব। বকলমে দেশ চালাচ্ছেন উনি। সব সিস্টেম ভেঙে দিয়েছেন।”

 

ইন্দিরা গাঁধীর আমলে জরুরি অবস্থা জারিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই নিয়ে এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর মতে, বাবাসাহেব অম্বেডকর, রাজেন্দ্র প্রসাদরা যে সংবিধান তৈরি করেছেন, যে সংবিধানের জন্য মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই পটেল, ভগৎ সিংহ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুরা লড়াই করেছেন, সেই সংবিধানকে হত্যা করার কথা তিনি মুখে আনতে পারবেন না বলে জানান মমতা।

 

আর সেই প্রসঙ্গেই বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বিজেপি-র অন্তত ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করা চলে না বলেও অভিযোগ করেন। জানান, যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সরকার রোজ রাজ্যগুলির ক্ষমতা হরণ করছে, রাজ্যগুলিকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে, নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, সাংসদদের সাসপেন্ড কের বিল পাস করছে, মানুষের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার বিল আনছে, রোজ সংবিধান পাল্টে দিচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করছে, দেশের সংসদ ভবন বদলে দিচ্ছে, বিহার-মহারাষ্ট্রে অসাধু উপায়ে ভাবে যারা সরকার গড়েছে, নোটবন্দির নামে মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধেই রোজ ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করা উচিত। দেশের নির্বাচন কমিশনও এখন পক্ষপাতদুষ্ট, নির্বাচনের পর প্রাপ্ত ভোটের হিসেবেও হেরফের হয় বলে অভিযোগ তোলেন মমতা। এমন সরকারের ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করা চলে না, বরং এমন চললে তাদের বিরুদ্ধে রোজ ‘গণতন্ত্র দিবস’ পালন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

 

 

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় বিস্ফোরক মমতা

 

আহমেদাবাদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ না হওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মানুষের জীবন সঙ্কটে। প্রতিদিন বিমানে উঠছেন সকলে, কিন্তু নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমদাবাদে কত মানুষ মারা গেলেন, কেউ জানে না। ডাক্তাররা হস্টেলে ছিলেন, তাঁদের প্রাণ চলে গিয়েছে। কত মানুষ নানা কাজে ওখানে যেতেন। কাছাকাছি ছিলেন কত জন। আজও সংখ্যা জানা গেল না।” বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও মমতা তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “আহমেদাবাদ-লন্ডনের বিমানে যে দুর্ঘটনা হয়েছে, কাদের দিয়ে তদন্ত করাচ্ছেন? আমলাদের দিয়ে।” নিজের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে মমতা বলেন, “আমি যতদূর জানি, আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, সেফটি রিভিউ কমিটি থাকত একটা। সিভিল এভিয়েশনের ক্ষেত্রেও আছে। আজ পর্যন্ত একটা এফআইআর হল না! মানে, মানুষের জীবনের কোনো দাম নেই! একবারও ভেবেছেন!”

কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষের সম্মান নিয়ে আপনারা খেলা করেন। আপনার মন্ত্রী, সাংসদরা কী সব কথা বলেন। সেনাদের নিয়েও কী বলেন, ম্যাডাম কুরেশিকে কী বলেছেন? যিনি পহেলগাঁওয়ের সময় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওঁকে নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আপনার মন্ত্রী তাঁকেও ছাড়লেন না।” তিনি এদিন আরও বলেন, “পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর সকলে বিশেষ অধিবেশনের কথা বলেছিল, সেটা করেননি। আমাদের দল ৫টি প্রশ্ন করেছিল। কোনও উত্তর দেননি।”

 

আজকের খবর