প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
চার বছর ডাক্তারি পড়াশোনার পর, শেষ পর্যন্ত ভুয়ো ST শংসাপত্র-এর ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ার অপরাধে জুহি কোলে নামের এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। ২০২২ সালে NEET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ST কোটায় ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
তবে এতদিন পর, চতুর্থ বর্ষে পড়াকালীন সময়ে ওই ছাত্রী যে fake caste certificate medical student – তা প্রমাণিত হলো। অভিযোগ, জলপাইগুড়ি থেকে জারি করা ভুয়ো শংসাপত্রের মাধ্যমে তিনি সংরক্ষিত আসনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
কিভাবে ধরা পড়ল জালিয়াতি?
কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর পদবী ও কাগজপত্র দেখে শুরুতেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। শংসাপত্রটি যাচাই করতে পাঠানো হয় জলপাইগুড়ির মহকুমা শাসক ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর-এর কাছে। দু’পক্ষই নিশ্চিত করে জানায়—এই সার্টিফিকেট সম্পূর্ণ জাল।
সরকারি পদক্ষেপ ও আদিবাসীদের প্রতিবাদ
ঘটনার পর আদিবাসী সমাজ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কলেজ ঘেরাও করে দাবি ওঠে অবিলম্বে বহিষ্কারের। বিষয়টি পৌঁছায় স্বাস্থ্য ভবনে, যেখান থেকে আসে স্পষ্ট নির্দেশ—তৎক্ষণাৎ ওই ছাত্রীকে বহিষ্কার করতে হবে।

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে কলেজ থেকে বের করে দেন এবং বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
প্রশ্ন উঠছে চারপাশে:
-
জাল শংসাপত্র তিনি কোথা থেকে পেলেন?
-
এর পেছনে কোনও বড় জালিয়াতি চক্র কি সক্রিয়?
-
সত্য বের হতে চার বছর সময় লাগল কেন?
-
কেউ কি তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল?
কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন,
“ভর্তির পরই সার্টিফিকেটে সন্দেহ হয়। পরে স্বাস্থ্য ভবনের মাধ্যমে তদন্ত হয় এবং নির্দেশ আসার পর সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হয়।”
এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল – fake caste certificate medical student-দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। সংরক্ষণের সুযোগ যেন প্রকৃত প্রাপকদেরই প্রাপ্য হয়, তা নিশ্চিত করতেই হবে।