সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
‘আমি সকলের কাছে অ্যাপিল করব, জাতি-দলমত নির্বিশেষে ..যেভাবে আমাদের বাংলার প্রতি বিজেপি আঘাত হানছে। কেন্দ্রের বৈমাত্রিক সুলভ আচরণ-সহ ৫ বছর ধরে আঘাত, বাংলার প্রতি অপমান, বাংলাকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া, এই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। যারা বাংলার মানুষের ভোট নিয়ে বাংলাদেশি বলে, তার বিরুদ্ধে লড়াইটা খালি তৃণমূলের নয়। সেই লড়াইটা আপামর জনগণের, ১০ কোটি বঙ্গবাসীর।’ আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বাংলায় এসআইআর শুরুর দিনেই কলকাতার রাজপথে মহা মিছিলের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের আগামীকালের মিছিল কর্মসূচি নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘যারা বাংলার মানুষকে বাংলাদেশী বলে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই ১০ কোটি বাংলাবাসীর। আগামীকাল থেকে ইনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হবে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার কর্মী, সমর্থকরা আগামীকালের ঐতিহাসিক মিছিলে যোগ দেবেন। ছ’টার ওপর আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। আজ ডানকুনিতে একজন আত্মহত্যা করেছেন। যারা বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে, বাংলাদেশী দাগিয়ে দিতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে এই লড়াই আগামীদিনে আরও জোরদার হবে, এবং লড়াই দিল্লি অবধি যাবে।’
বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন করেন অভিষেক। বলেন যে, সোনালী খাতুনের মা-বাবার নাম রয়েছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। হাইকোর্ট বলেছে সে ভারতীয়, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারপরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রক কোনও উদ্যোগ নেয়নি। একই অবস্থা সুইটি খাতুনের। গতকাল অমিত শাহ বলেছেন, যারা ভারতে জন্মায়নি, তাদের ভারতে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। সেই যুক্তিতে লালকৃষ্ণ আদভানি, শান্তনু ঠাকুর, মতুয়া ভাই বোনদের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। এদের ফাঁদে পা দেবেন না। সিএএ ক্যাম্পে নাম লেখালে অসমের লক্ষ লক্ষ হিন্দুর মত অবস্থা হবে।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের পাশে রয়েছে, প্রত্যেক বিধানসভায়, অঞ্চলে ক্যাম্প করা হচ্ছে। বাংলার পাওনা ২ লক্ষ কোটি টাকা, আমরা তা ফিরিয়ে আনবো। তার জন্য তৃণমূল দিল্লি যাবে।’ নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন নিজেই অপ্রস্তুত। এই দায় কার? ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিক করবে? নোটবন্দি করে ৩০৩ থেকে ২৪০-এ নেমেছে, এবার ভোটবন্দি করে মানুষ তাদের ১০০তে নামবে।’

বিজেপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘এসআইআর-এর পরেও তৃণমূলের ভোট শতাংশ ও আসন সংখ্যা বাড়বে। আপনারা হারলে বাংলার মানুষের কাছে কান ধরে ক্ষমা চাইবেন।’