ব্রেকিং
  • Home /
  • স্বাস্থ্য /
  • Mamata Swasthya Bhawan : হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর মুখ্যমন্ত্রী, ‘দায়িত্ব যাঁদের তাদের কাজের ফল চাই’ কড়া বার্তা মমতার

Mamata Swasthya Bhawan : হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর মুখ্যমন্ত্রী, ‘দায়িত্ব যাঁদের তাদের কাজের ফল চাই’ কড়া বার্তা মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। ‘আমি তো কারও কাজে নাক গলাই না, কিন্তু দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের কাজের ফল দেখতে চাই।’ এভাবেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাজের উপরে কড়া নজরদারি রাখার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী....

Mamata Swasthya Bhawan : হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর মুখ্যমন্ত্রী, ‘দায়িত্ব যাঁদের তাদের কাজের ফল চাই’ কড়া বার্তা মমতার

  • Home /
  • স্বাস্থ্য /
  • Mamata Swasthya Bhawan : হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর মুখ্যমন্ত্রী, ‘দায়িত্ব যাঁদের তাদের কাজের ফল চাই’ কড়া বার্তা মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। ‘আমি তো কারও কাজে নাক গলাই না, কিন্তু দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের কাজের....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

‘আমি তো কারও কাজে নাক গলাই না, কিন্তু দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের কাজের ফল দেখতে চাই।’ এভাবেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাজের উপরে কড়া নজরদারি রাখার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নতুন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিক প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে স্বাস্থ্য ভবনে এসে হাসপাতালের নিরাপত্তা, পরিষেবার গতি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে নির্দেশ দেন দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘গতি মানেই প্রগতি। আমি তো কারও কাজে নাক গলাই না, কিন্তু দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের কাজের ফল দেখতে চাই।’ এরপর তিনি নতুন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিক প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই প্রকল্পের অর্থসংস্থান রাজ্যসভার সাংসদদের অনুদান ও বিদ্যুৎ দফতরের সিএসআর তহবিল থেকে করা হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদদের ৬০ কোটি টাকা এবং সিএসআর মিলিয়ে মোট ৮৪ কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে এই ইউনিট। মমতা দাবি করেন, ‘আগেও আমরা অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছি, এবার আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। এটা সাধারণ মোবাইল ইউনিট নয় – এটা ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিক। ইসিজি, ব্লাড টেস্ট, আল্ট্রাসাউন্ড-সহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা থাকবে। শিশু ও গর্ভবতী মায়েরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। সিরিয়াস রোগীকেও এখানে আনা যাবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাহাড়, জঙ্গলমহল ও সুন্দরবনের মতো দুর্গম এলাকায় এই ইউনিট পাঠানো হবে। যেখানে যেখানে গাড়ি যাবে, আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। এই পরিষেবা চালাতে মাসে প্রায় দুই কোটি টাকার বেশি খরচ হবে, কিন্তু মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যের আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আশা কর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের মোবাইল ফোন দেওয়া নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল ফোন আশা কর্মীদের ভোটের জন্যে নয়, কাজের জন্যে দিয়েছি। কেন্দ্র এত টাকা বন্ধ করে রেখেছে, তার পরেও আমাদের সব কাজ হচ্ছে। আমরা যা করি, তা বাকিরা ফলো করছে।’

 

স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফেক মেডিসিন দেখা। মেডিসিন অডিট, এসি অডিট, সিকিউরিটি অডিট – সব দেখতে হবে। ওষুধ সহ স্যালাইনের স্টক চেকিং করতে হবে। আমাদের নজর রাখতে হবে যাতে স্বাস্থ্য যেন অস্বাস্থ্য না হয়।’ মমতা জানান, এসএসকেএম একটি অরগ্যান ব্যাঙ্ক করছে, যাতে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মজুত রাখা হবে। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা আছে হার্ট, কিডনিরও ব্যাঙ্ক হবে বলে জানান তিনি। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় রাজ্য প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই ১৪ বছরে বিপ্লব হয়েছে স্বাস্থ্যে। স্বাস্থ্যভবন থেকে এই কথআই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ১৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে। ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। ১৩৫০০-র বেশি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। আরও ১২ হাজার প্রসেসে রয়েছে। ৭৬টি সিসিইউ তৈরি করা হয়েছে। ৩টি এইচডিইউ, ১৭টি মাদার এন্ড চাইল্ড হাব, ১৩টি মাদার ওয়েটিং হাট, ১৫৮টি বিনামূল্যে রোগনির্ণয় কেন্দ্র সবই করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে ৪০ হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে। আগে বাড়িতে বাড়িতে শিশু জন্ম হত। এখন হাসপাতালে হাসপাতালে জন্ম হয়। আগে এত হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ ছিল না। দাইমার হাতেই আগে জন্ম হত শিশুদের এখন হাসপাতালে সেই সুযোগ বেড়েছে। বাম আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। এখন সেই ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। ব্লাডব্যাঙ্কের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ থেকে ৮৯ হয়েছে। আয়ুর্বেদিক যোগা নিউরোপ্যাথি ডিগ্রি কলেজ তৈরি হয়েছে বেলুড়ে। ৪৯টি ট্রমাকেয়ার সেন্টার তৈরি হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসএসকেএম হাসপাতালে একটা ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে যেতে সময় লাগে। অনেক অন্ধকার জায়গা থাকে। অনেক বদমাশ যেমন গাছতলায় বসে থাকে। হাসপাতালে তো কাউকে চলে যেতে বলতে পারবেন না, কিন্তু আপনাদের দেখে রাখতে হবে। ভাইদের বলব, দেখে রাখো। আস্তে আস্তে ওখানে সমস্ত ব্যবস্থা করতে হবে।’
পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ১৪ হাজার চিকিৎসক নেওয়া হয়েছে। বাকি নিয়োগ কেন আটকে রয়েছে সেটা দেখা হোক। চিকিৎসক, নার্স সব ক্ষেত্রে নিয়োগ শুরু হোক। চিকিৎসকরা চিকিৎসা করেন। নার্সরা বাকি সমস্ত কাজ করেন। ওষুধ দেওয়া থেকে শুরু করে অক্সিজেন দেওয়া, নজরদারি করা সবটাই তাঁরা করেন। প্যাথলজিতে অনেকে কাজ করেন, এমআরআই, স্ক্যান, সহ একাধিক ক্ষেত্রে সকলেই কাজ করেন, তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ। সকলের দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।

আজকের খবর